টানা ৪৫ মিনিট হার্ট পাম্প করেও ব্যর্থ চিকিৎসকরা, প্লাস্টিক সার্জারিতে মৃত্যু দক্ষিণী নায়িকার!

প্লাস্টিক সার্জারি(Plastic Surgery) করাতে গিয়ে  মাত্র ২১ বছর বয়সেই মৃত্যু হল কন্নড় অভিনেত্রী চেতনা রাজের(Chetna Raj)। বেঙ্গালুরুতেই চেতনার বড় হয়েছেন। কলেজের পড়াশোনা শেষ করার আগেই মডেলিং(Modeling) জগতে পদার্পণ।মডেলিং জগত এবং দক্ষিণী টিভি ধারাবাহিকে অভিনয়ের অভিনয় সুবাদে বেশ পরিচিত মুখ চেতনা। গীতা’, ‘দোরেসানি’, ‘ওলাভিনা নিলদানা’ নামে কন্নড় ধারাবাহিকে অভিনয় করে খুবই সুনাম অর্জন করছিলেন তিনি। কন্নড় সিনেমা ‘হাভাইয়ামি’তেও অভিনয় করেছেন চেতনা।

অভিনয়ের পাশাপাশি ছিলেন যথেষ্ঠ স্বাস্থ্য সচেতন। দেহের মেদ ঝরানো বা বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেকে সুন্দর সুঠাম, চীরযৌবনা করে রাখা তো অভিনেতা অভিনেত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ একটি অভ্যেস। প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে সুন্দরী হয়েছেন এমন নায়িকার অভাব নেই। তাই চেতনার এই শখ অন্যায় কিছু নয়। হঠাৎ মেদ ঝরানোর শখ জাগে তাঁর। কিন্তু ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, সেই শখ ক্রমে মারাত্মক আকার নেয়। তাতে যা পরিণতি হল অভিনত্রীর বিধির বিধান ছাড়া কিছু নয়।

সোমবারই প্লাস্টিক সার্জারি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নায়িকা।মেদ কমানোর অস্ত্রোপচারের জন্য বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে ভর্তিও হন তিনি। কিন্তু এই বিষয় পরিবারকে কিছু জানাতে চাননি তিনি। চিকিৎসকদের সেই মতো বলেওছিলেন চেতনা যে তাঁরা যেন কোনও ভাবেই তাঁর পরিবারকে প্লাস্টিক সার্জারির কথা না জানান।

মা-বাবার কাছ থেকে লুকিয়েই অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় অস্ত্রোপচারের পর নায়িকার ফুসফুসে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। ফুসফুসের ভিতর জল জমতে শুরু করে।ওই অবস্থাতেও না কী হাসপাতালের চিকিৎসকদের চেতনা বলেছিলেন যে তাঁর অসুস্থতা সম্পর্কে যেন কিছু জানানো না হয়। চেতনা না কী এও বলেছিলেন, কেউ জিজ্ঞাসা করলে যেন বলা হয়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, চিকিৎসকরা প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বুকে পাম্প করা সত্ত্বেও বাঁচাতে পারেননি চেতনাকে। চেতনার মৃত্যু হয়েছে জানা সত্ত্বেও প্লাস্টিক সার্জারির সংস্থার কর্মীরা লাগাতার হুমকি দিতে থাকেন হাসপাতালের চিকিৎসকদের। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ চেতনাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তাঁর বাবা-মা ওই প্লাস্টিক সার্জারি সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আরও পড়ুন- মেদিনীপুরের ঝুলি পূর্ণ: ফুটপাথ-প্রেক্ষাগৃহ, খড়গপুর শহরের নিরাপত্তায় কড়া নজরদারির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Previous articleথমাস কাপে ঐতিহাসিক জয়, কোচ নিয়োগে জোর দিচ্ছে ব্যাডমিন্টন সংস্থা
Next articleখাটের নিচে মোড়ানো রক্তমাখা দেহ, শহরে ফের রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য