বিরোধীদের লাগাতার আন্দোলনের ফল, জ্বালানির দাম কমাতে বাধ্য হল মোদি সরকার

মূল দাম কমালো না কেন? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল-সহ কেন্দ্রের বিরোধীরা। দিল্লি (Delhi) থেকে বাংলা, দেশের অন্যান্য অংশেও এই ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলন করা হয়েছে। চাপে পড়ে পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol-Diesel) এক্সাইজ ডিউটি কমানোর ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে দাম ২০০ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে উজ্জ্বলা প্রকল্পের রান্নার গ্যাসের দামেও। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যেখানে কেন্দ্র বারবার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে তেল সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, সেখানে এখন কীভাবে দাম কমাতে পারলো? যদি সেটাই কমাতে পারে তাহলে মূল দাম কমলো না কেন?

শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে জ্বালানির শুল্ক কমানো নিয়ে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তিনি টুইট করে লেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের কষ্ট কমাতে বদ্ধপরিকর। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করা হল। এরপরই পেট্রোল-ডিজেলের উপর (Fuel Price) এক্সাইজ ডিউটি (Excise Duty on Fuel) কমাবার কথা জানান হয়। পেট্রোলে ৮ টাকা এবং ডিজেলে ৬ টাকা এক্সাইজ ডিউটি কমাচ্ছে কেন্দ্র। উজ্জ্বলা প্রকল্পের গ্যাসে সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্র। কলকাতায় এখন পেট্রোলের দাম ১১৫ টাকা ১২ পয়সা। তা কমে হবে ১০৫টাকা ৬২ পয়সা। ডিজেলের দাম ৯৯ টাকা ৮৩ পয়সা। তা কমে হবে ৯২ টাকা ৮৩ পয়সা। শনিবার মধ্যরাত থেকেই নয়া দাম কার্যকর।

তবে, এখন প্রশ্ন, যদি মোদি সরকার এত জনদরদিই হয়, তাহলে মূল দাম কেন কমানো হয়নি? একই সঙ্গে এতদিন বারবার দাম বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি এবং তার জেরে তেল কোম্পানিগুলোর জ্বালানির দাম বাড়ানোকে দায়ী করেছে কেন্দ্র। তাহলে এবার এক্সাইজ ডিউটি কমানো গেল কী করে? এক্সাইজ ডিউটির ক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য বৈষম্য রয়েছে। উঠছে প্রশ্ন, কেন রাজ্য কেন্দ্র করের সমান ভাগ পাবে না? বিরোধীদের এইসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর এখনও মোদি সরকারের তরফ থেকে মেলেনি।

আরও পড়ুন- মোদি সরকারের বর্ষপূর্তি সফল করতে বঙ্গে দায়িত্বে লকেট, ক্ষুুব্ধ ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী

Previous articleRabindra Sarobar: কালবৈশাখীর দাপট, রোয়িং বোট উল্টে রবীন্দ্র সরোবরে মৃত্যু দুই পড়ুয়ার
Next articleরবি ঠাকুরের সঞ্চারী, উৎপল সিনহার কলম