শুভেন্দুর প্রতি অনাস্থা থেকে নন্দীগ্রামে গণইস্তফার পথে একঝাঁক বিজেপি নেতা

একুশের বিধানসভা ভোটের আগে যখন তৃণমূলে বেসুরো শুভেন্দু, ঠিক তখনই "দাদার অনুগামী" বলে পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার সেই দাদার অনুগামীরাই দাদার পথ আর অনুসরণ করতে চাইছে না

রাজ্য বিজেপিতে মুষল পর্ব অব্যাহত। একে একে দল ছাড়ছেন হেভিওয়েট বিধায়ক, সাংসদরা। তবে নিচুতলার কর্মী-সমর্থক-বুথস্তরের নেতারাই যে কোনও দলের সম্পদ। সেই জায়গাতেও বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে বিজেপি। এবার খোদ।রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নির্বাচনী কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে গেরুয়া শিবিরের একঝাঁকল নেতা গণইস্তফার পথে হাঁটতে চলেছেন বলে খবর। এবং স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর উপর অনাস্থা থেকেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত।

একুশের বিধানসভা ভোটের আগে যখন তৃণমূলে বেসুরো শুভেন্দু, ঠিক তখনই “দাদার অনুগামী” বলে পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার সেই দাদার অনুগামীরাই দাদার পথ আর অনুসরণ করতে চাইছে না। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামে মণ্ডল সভাপতি পদে দলের চাপিয়ে দেওয়া ব্যক্তিকে পছন্দ নয় বেশিরভাগ নেতা-কর্মীর। তাই মণ্ডল সভাপতি বদল না হলে গণইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়ে সম্প্রতি জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি একঝাঁক বিজেপি নেতা-কর্মীরা।২০০ জন নেতা-কর্মী গণইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নন্দীগ্রামে ওই নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে জরুরি বৈঠকে বসছেন বলেও জানা যাচ্ছে। এঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে আছেন। এবং তাঁরা সকলেই একসময়কার “দাদার অনুগামী” বলেই পরিচিত। এখন আর দাদার অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি তাঁদের আস্থা-ভরসা নেই। দাদা কথা রাখেনি। তাই দলবদলের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, সাংগঠনিকভাবে বিজেপির নন্দীগ্রাম বিধানসভার
অন্তর্গত মোট পাঁচটি মণ্ডল কমিটির মধ্যে গত এপ্রিলে একমাত্র নন্দীগ্রাম-১ দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি পদে বদল এনেছে। ওই মণ্ডল কমিটির সভাপতি ছিলেন জয়দেব মণ্ডল। তাঁকে সরিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মাইতিকে মণ্ডল সভাপতি করা হয়েছে। এনিয়েই সোনাচূড়া, কালীচরণপুর, গোকুলনগর এলাকার বিজেপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ ফেটে পড়েছেন।

বিদ্রোহী নেতা-কর্মীরা স্থানীয় মণ্ডল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জেলা সভাপতিকে তিনজনের সম্ভাব্য নামের তালিকা পাঠায়। ওই তিনজনের মধ্যে কোনও একজনকে মণ্ডল সভাপতি করা না হলে গণইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেয়নি জেলা নেতৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই এবার গণইস্তফার পথে হাঁটতে চলেছেন নন্দীগ্রামের একঝাঁক বিজেপি নেতা।

আরও পড়ুন:রাজভবনে রাজ্যপালের তলবে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী-শিক্ষাসচিব

 

 

Previous articleরাজভবনে রাজ্যপালের তলবে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী-শিক্ষাসচিব
Next articleসরকার বদলানোর ক্ষমতা রাখেন কৃষকরা: অন্নদাতাদের একজোট হওয়ার ডাক চন্দ্রশেখরের