লকেটের মতই দিলীপ ঘোষকে বাইরের রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে বাংলা ছাড়া করছে বিজেপি

কিন্তু এই দায়িত্ব বৃদ্ধি কি বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির রাজনৈতিক উত্থান? না কি লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতোই বাংলা থেকে সুকৌশলে "অপসারণ" করা হচ্ছে তাঁকে? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিজেপি শিবিরের অন্দরে

বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি থেকে সর্বভারতীয় বিজেপির সহ-সভাপতি হয়েছেন। তবুও বাংলার বাংলার রাজনীতিতেই মনসংযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। বাংলার রাজনীতির আবর্তে নিজেকে বন্দি রাখতে পছন্দ করেন তিনি। কিন্তু এবার সে গুড়ে বালি! রাজ্য রাজনীতি থেকে দূরত্ব বাড়ানো হচ্ছে দিলীপ ঘোষের। এবার বাংলার বাইরের আট রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্বর কাজে দিলীপকে নিয়োজিত করতে চান কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিজেপি সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে গোটা দেশেই ‘বুথ সশক্তিকরণ অভিযান’ শুরু করছে গেরুয়া শিবির। আর সেই কর্মসূচিতেই বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, আন্দামান ও উত্তর-পূর্বের চার রাজ্য মণিপুর, মেঘালয়, অসম, ত্রিপুরার সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্ব দিলীপকে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু এই দায়িত্ব বৃদ্ধি কি বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির রাজনৈতিক উত্থান? না কি লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতোই বাংলা থেকে সুকৌশলে “অপসারণ” করা হচ্ছে তাঁকে? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিজেপি শিবিরের অন্দরে।

এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি সংগঠনের লোক। সংগঠন করতেই বেশি ভালবাসি। আমার কাছে সবার আগে দল। শীর্ষ নেতৃত্ব যেখানে যা দায়িত্ব দেবে, সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করব।

একটি মহলের দাবি বাইরের রাজ্যে দায়িত্বে পাঠিয়ে আসলে দিলীপ ঘোষকে বাংলা ছাড়া করতে চাইছে তাঁরই দল। বিষয়টি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়,
‘‘আমি তো বাংলার সাংসদ। আগে বাংলা থেকেই বিধায়ক ছিলাম। তবে এটা ঠিক যে, আমায় এখন বিভিন্ন রাজ্যে খুব বেশি সফর করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাংলায় কাজের সময় কমবে।”

দিলীপ ঘোষকে রাজ্যের বাইরে পাঠানোর সিদ্ধান্তে বিজেপির একটি অংশ দারুণ খুশি। এই লবি সুকান্ত-শুভেন্দু-অমিতাভ চক্রবর্তীদের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিলীপ বিরোধী গোষ্ঠীর এক নেতার কথায়, ‘‘দিলীপদা মাঝেমাঝেই এমন কিছু বেফাঁস মন্তব্য করে যে, জনমানসে
তা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গোচরেও গিয়েছে। একাধিকবার যা নিয়ে বেশ কয়েকবার দিলীপ ঘোষকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। বাইরের রাজ্যে দায়িত্ব দিয়ে আসলে দিলীপ ঘোষকে বাংলার রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় করা হল।”




Previous articleআবেদনে ত্রুটি, পার্থর আর্জি ফেরাল শীর্ষ আদালত
Next articleপ্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার টেলি অভিনেত্রীর স্বামী