‘কন্যাশ্রী’র জন্য ধন্যবাদ: মালদহ থেকে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে বলল ক্লাস টু-র সায়ন্তিকা

মুখ্যমন্ত্রী ক্লাস টু-র সায়ন্তিকার গাল টিপে আদর করেন। বিশ্ববাংলা স্কুল ব্যাগ, মিষ্টি, চকলেট উপহার দেন। বাড়ির কথা জানতে চান। তাঁর বাবাকে মমতা বলেন, কোনও রকম অসুবিধে হলে তাঁকে সরাসরি জানাতে। সায়ন্তিকার লেখাপড়ার দায়িত্ব তাঁর বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

ইচ্ছে ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে আমসত্ত্ব দেবে। সেই মতো মালদহ থেকে এসে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আমগাছের চারা ও আমসত্ত্ব দিল ক্লাস টু-র ছাত্রী সায়ন্তিকা দাস (Sayantika Das)। ধন্যবাদ জানাল মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত যুগান্তকারী ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও ছোট্টো সায়ন্তিকার হাতে তুলে দেন রিটার্ন গিফ্ট (Return Gift)।

মালদহ গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আমসত্ত্বের কথা বলেছিলেন। তাই মালদহ থেকেই সাইকেল চালিয়ে কলকাতা এসে তাঁকে আমসত্ত্ব দিতে চেয়েছিল সায়ন্তিকা। একই সঙ্গে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চায় সে। কিন্তু এত ছোটো মেয়ের পক্ষে মালদহ থেকে কলকাতা সাইকেলে আসার বিষয়ে নিষেধ করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। বদলে পরামর্শ দেওয়া হয়, মালদহ থেকে ট্রেনে এসে স্টেশন থেকে সে যেন সাইকেলে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। সেই মতো, বৃহস্পতিবার, সকালে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে যাওয়ার আগে সায়ন্তিকা তার বাবার সঙ্গে কালীঘাটের বাড়িতে আসে। নিয়ে আসে আমসত্ত্ব ও আমগাছের চারা। সায়ন্তিকা কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানায়। এই প্রকল্পের জন্যই তার এক দিদির লেখাপড়া ও রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য আর এক দিদির বিয়ে হয়েছে। এছাড়াও রাজ্য সরকারের অন্যান্য পরিষেবা পাওয়ার জন্য তাদের সংসারে স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে। সব শুনে মুখ্যমন্ত্রী ক্লাস টু-র সায়ন্তিকার গাল টিপে আদর করেন। বিশ্ববাংলা স্কুল ব্যাগ, মিষ্টি, চকলেট উপহার দেন। বাড়ির কথা জানতে চান। তাঁর বাবাকে মমতা বলেন, কোনও রকম অসুবিধে হলে তাঁকে সরাসরি জানাতে। সায়ন্তিকার লেখাপড়ার দায়িত্ব তাঁর বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, ফেরার পথে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য গাড়ি করে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।



Previous article৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি, ইনফোসিস CEO সলিল পারেখের বেতন হতে চলেছে ৭৯ কোটি টাকা
Next articleসীমার সীমাহীন লড়াইয়ে পাশে সোনু সুদ, সাহায্যের আশ্বাস জেলা প্রশাসনের