Thursday, August 28, 2025

ঠিক জায়গায় ঢিলটা পড়েছে: মন্তব্য-বিতর্কে শ্যামনগরের জনসভা থেকে রাজ্যপালকে ধুয়ে দিলেন অভিষেক

Date:

হলদিয়ার শ্রমিক সমাবেশে বিচারব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। সেই নিয়ে ‘সীমা লঙ্ঘন’ করার অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। সোমবার, শ্যামনগরের জনসভা থেকে তাঁকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, আমি সীমারেখা অতিক্রম করেছি। আমি কী বলেছি? বিচারব্যবস্থায় ৯৯% খুব ভাল। কিন্তু ১ শতাংশ সরকারি আধিকারিকের কথায় কাজ করছে। আমি বিচারব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেছিলাম, উত্তর দিচ্ছেন রাজ্যপাল। মানে ঠিক জায়গায় ঢিলটা পড়েছে। মৌচাকে ঢিল পড়েছে। ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি!”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) যখন কদর্য ভাষায় পুলিশ প্রশাসনকে আক্রমণ করেন তখন রাজ্যপাল নীরব কেন? বিচারব্যবস্থাকে কেউ যাদি অপমানিত করে, সেটা বিজেপি নেতা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব করেছেন। সেই বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল কেন কোনও মন্তব্য করেন না।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধেও সুর চড়ান অভিষেক। বলেন, সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে একমঞ্চে ছবি বলে মদন মিত্রের ৩বছরের জেল হল। আর নীরব মোদির সঙ্গেও নরেন্দ্র মোদির ছবি দেখা গিয়েছে। তাহলে তাঁর তিনবছরের জেল হবে না কেন! একই সঙ্গে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে ভরা ডুবি হওয়ার পরেই তৃণমূলের তিন নেতা-মন্ত্রীকে ডাকা হয়েছিল। অথচ নারদকাণ্ডে যাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল, যাঁর নামে সুদীপ্ত সেন তাঁর চিঠিতে লিখছেন যে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন বিজেপি সেই মস্তানকে কেন ‘ডাকা’ হল না! নাম না করে বিজেপি বিধায়ককে তুমুল আক্রমণ করেন অভিষেক।

তৃণমূল সাংসদ বলেন, সুপ্রিমকোর্ট-হাইকোর্টের রায় আমাদের কাছে শিরোধার্য। সুপ্রিমকোর্টের মেরুদণ্ড সোজা তাই দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় হয়েছে।

আরও পড়ুন:কে ফোনে হুমকি দিত রোজ রাতে ! আত্মঘাতী  সরস্বতীকে নিয়ে রহস্য ঘনীভূত

 

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version