বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে কিষান মান্ডিতে (Kishan Mandi) ধান কেনাবেচা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দুর্নীতি রোধে কড়া পদক্ষেপের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

কিষান ধান কেনাবেচায় হচ্ছে বিস্তর গরমিল। সেই অভিযোগ গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং সেই সব অভিযোগ এদিনের বৈঠকে পড়ে শোনানা। বলেন, কোথাও চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে না, কোথাও আবার ওজনের যন্ত্র গরমিল। ফলে ক্ষতি হচ্ছে কৃষকদের। তাঁরা বাধ্য হয়ে স্থানীয় আড়তদারের কাছে কম দামে ধান বেচছেন। একেও একধরনের দুর্নীতি বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগের তির সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে।

কিষান মান্ডির দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার খাদ্য নিয়ামক আধিকারিক শেখ আলিমুদ্দিন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। কিষান মান্ডির দায়িত্বে থাকা অভিযুক্ত আধিকারিকরা কেন বহাল আছেন- তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই গরমিল রুখতে একাধিক নির্দেশিকা দেন মমতা। বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার, খাদ্য নিয়ামক আধিকারিক এবং বিডিওদের উদ্দেশে বলেন,
• কিষান মান্ডিতে সিসিটিভি লাগাতে হবে।
• সেগুলো সচল কি না তার দিকেও নজরদারি থাকবে।
• ধান মাপার মেশিনগুলি নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
• প্রয়োজনে কলকাতা থেকে শংসাপত্র করিয়ে নিতে হবে।
• ব্লক সহায়তা কেন্দ্রে গ্রামবাসীদের অভিযোগ জমা করতে হবে।
• ৭ দিন অন্তর সেই অভিযোগ সংগ্রহ করবেন বিডিও বা জেলাশাসকরা। সারপ্রাইজ ভিজিট করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ শুনে আশ্বস্ত বাঁকুড়ার কৃষকরা।
