স্বাস্থ্যসাথীর সমালোচনা ও আয়ুষ্মান ভারত চালুর দাবি শুভেন্দুর, পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল

shuvendu kunal

চেনা ছকে রাজ্য সরকারের বিপুল জনপ্রিয় প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সমালোচনায় সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu Adhikari)। ‘স্বাস্থ্যসাথী(Swasthy Sathi Card) কার্ড ব্যর্থ হয়েছে’, অভিযোগ তুলে রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প(Ayushman Bharat) চালু করার দাবি তুললেন তিনি। যদিও বিরোধী দলনেতার এহেন দাবির পাল্টা তোপ দেগে দুই প্রকল্পের পার্থক্য বুঝিয়ে দিয়ে শুভেন্দুকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।

এদিন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্যসরকারের চালু করা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে। এই কার্ড রাজ্যের বাইরে চলে না। সারা ভারতের বহু মানুষ যখন আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ হল একমাত্র রাজ্য যেখানে আয়ুষ্মান ভারতের সুযোগ পাচ্ছে না মানুষ। তিনি রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভোটের সময় রাজনীতি। ভোট বাদ দিয়ে সবসময় মানুষের জন্য কাজ, এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত চালু করা হোক। যাতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির ৯ বছর পূর্তির সময়ে রাজ্যের কতজন আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন তা জানতে পারা যায়। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের অভিযোগেও সরব হন শুভেন্দু।

আরও পড়ুন:SSC: এসএসসি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে 

তবে রাজ্য সরকারের বিপুল জনপ্রিয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে শুভেন্দুর এহেন মিথ্যাচারের পাল্টা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, আয়ুষ্মান ভারত ও স্বাস্থ্যসাথী দুটি আলাদা আধারের উপর নির্ভর করে। শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। আয়ুষ্মান সকলে পাবেন না, কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী সবাই পাবেন। আয়ুষ্মান ভারতে অর্ধেকের বেশি এর এক্তিয়ারে পড়বে না। যার বাড়িতে টিভি আছে, মোবাইল আছে তারা আয়ুষ্মান ভারতের আওতার বাইরে। তবে তারা কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী পাবেন। আসলে সব জেনেও বিভ্রান্তিকর প্রচার করছেন শুভেন্দু। পাশাপাশি নাম বদলের অভিযোগ প্রসঙ্গে এদিন শুভেন্দুকে কার্যত ধুয়ে দিয়ে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “আগে বলুন আমেদাবাদের স্টেডিয়ামের নাম বদল করে কেন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম করা হল? প্রকল্পগুলি চালানোর জন্য কেন্দ্র পুরো টাকা দেয় না। কোথাও অর্ধেক তো কোথাও অর্ধেকের বেশি রাজ্যকে দিতে হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষদের নাম বুঝতে অসুবিধা হয় সেটাও একটা কারণ।” পাশাপাশি তিনি বলেন, আর নাম বদলের কথাই যদি বলা হয় সেক্ষেত্রে, অহরহ নাম বদল করে চলেছে কেন্দ্র। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের চালু করা প্রকল্পের নাম বদল করে নিজেদের নামে চালানো হচ্ছে। কোনও ঐতিহাসিক জায়গা, মানুষ যে নামে সেই জায়গাকে চিনতো তার নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে। একটা গোটা স্টেডিয়ামের নাম বদল করে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম করে দেওয়া হল।




Previous articleআদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের
Next articleকিষান মান্ডিতে গরমিলের অভিযোগ, বাঁকুড়ায় কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর