উলট পুরান : সীতার পাতাল প্রবেশ মামলায় ত্রিপুরার উদয়পুরের থানা ক্লিনচিট দিল কুণালকে

ত্রিপুরায় উলটপুরাণ।সীতার পাতালপ্রবেশ বিতর্ক সংক্রান্ত মামলায় কুণাল ঘোষকে ক্লিন চিট দিল উদয়পুরের আর কে পুর থানা। চার্জশিট না দিয়ে তারা কোর্টকে লিখিতভাবে সুপারিশ করল কুণালকে অভিযোগমুক্ত করা হোক।


আরও পড়ুন:কী চায় সুভাষের মন, কামিনী না কাঞ্চন! এবার পাল্টা “গুজরাত ফাইলস” কটাক্ষ কুণালের


উদয়পুর আদালতে FRT পেশ করে থানা বলেছে, কুণালের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁকে অভিযোগমুক্ত ঘোষণা করা যেতে পারে।
কোর্টে থানা লিখিতভাবে বলেছে, অভিযোগকারীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কোনও তথ্য প্রমাণ মেলেনি। উল্টে কুণাল ঘোষ তদন্তকারীদের সামনে উপস্থিত হয়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করিয়ে গেছেন। এই অবস্থায় থানার রুটিন বক্তব্য, যদি এরপর অভিযোগকারী নতুন কোনো যথাযথ প্রামাণ্য পেশ করেন, তাহলে আবার তদন্ত হতে পারে। অন্যথায় কুণালের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার কোনও উপাদান নেই।



উল্লেখ্য, একই অভিযোগে ত্রিপুরার একাধিক থানায় কুণালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিজেপি সরকারের পুলিশ। সোমবারেই অমরপুর কোর্টে উপস্থিত হন তিনি। এখানকার তিনটি মামলাতেই জামিন পান। এদিকে হুবহু একই অভিযোগে করা আর কে পুর থানার মামলায় পুলিশ কুণালকে অপরাধমুক্ত জানালো।

কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন,” আর কে পুর থানাই এখনও পর্যন্ত যথাযথ তদন্ত করল। না হলে সীতার পাতালপ্রবেশ বিষয়টির উল্লেখ করার জন্য কোনো মামলা বা চার্জশিট হতে পারে না। ভিত্তিহীন অভিযোগে হয়রানির জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একগুচ্ছ মামলা দেওয়া হয়েছে। একই মিথ্যা অভিযোগ। বেনজিরভাবে একদিনে একসঙ্গে একসময়ে কুণালকে জেরা করল পাঁচটি থানা। তারমধ্যে তিন চারটি থানা তদন্ত না করেই চার্জশিট দিল। একটি থানা আসল নিরপেক্ষ রিপোর্ট দিয়ে দেখিয়ে দিল এই অভিযোগে কোনও সারবত্তা নেই।”

উল্লেখ্য, কুণাল বলেছিলেন, জয় শ্রীরাম শ্লোগান দিয়ে যারা তৃণমূলকে মারছে, সন্ত্রাস করছে, মা বোনেরা তাদের জিজ্ঞেস করুন রামরাজ্যে মা সীতার স্থান হল না কেন? কেন পাতালপ্রবেশের মত আত্মঘাতী পদক্ষেপ নিতে হল তাঁকে?” এতেই রে রে করে ওঠে বিজেপি। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত বলে একগুচ্ছ মামলা দেয়। থানাগুলির নোটিস পেয়ে কুণাল রামায়ণ ও সংশ্লিষ্ট বইগুলি এনে বুঝিয়ে দেন তিনি কোনো বিকৃত কথা বলেননি। মনগড়াও বলেননি। কাউকে আঘাত করার কোনো ইচ্ছে তাঁর ছিল না।

আর কে পুর থানা সূত্রে খবর, তাঁরা তদন্তে কুণালের বিরুদ্ধে কিছু পাননি। যাঁকে দিয়ে অভিযোগ করানো হয়েছিল তিনিও কিছু দিতে পারেননি। উল্টে কুণাল গুচ্ছের বই এনে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ফলে কোর্টকে তাঁরা কুণালকে অভিযোগমুক্ত করার সুপারিশ করেছেন।

Previous articleকী চায় সুভাষের মন, কামিনী না কাঞ্চন! এবার পাল্টা “গুজরাত ফাইলস” কটাক্ষ কুণালের
Next articleপুরুলিয়ার উন্নয়নে একাধিক ঘোষণা, কর্মিসভা থেকে আর কী বললেন মমতা