যুদ্ধ নয় শান্তি চাই এই বার্তা পৃথিবীর সর্বত্র,তবুও থামছে না যুদ্ধ। আবারও সংবাদের শিরোনামে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ(Russia Ukraine war)। একে অন্যকে আক্রমণ করার নেশায় বেড়েই চলেছে ধ্বংসলীলা। শিশু (Children)হোক বা মহিলা বাদ পড়ছেন না কেউই। রাশিয়ার আগ্রাসনে এখনো পর্যন্ত ২৪৩ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পুতিন (Vladimir Vladimirovich Putin ) বাহিনীর আক্রমণের শিকার ৪৪৬ জন নিরীহ শিশু। অবিরাম গুলি আর বোমাবর্ষণে গুরুতর জখম হয়ে আজ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে তাঁরা ,কেউ বা সারা জীবনের মতো প্রতিবন্ধী হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক শিশু দিবসের( International Children’s Day) দিন চেয়ারের ওপর পুতুল বসিয়ে ইউক্রেনের শিশুদের বাঁচানোর প্রতীকী প্রতিবাদ ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়(social media)।

যুদ্ধের প্রায় ১০০ দিন অতিক্রান্ত হতে চলেছে।প্রাণপণ লড়াই করে চলেছে ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr Zelensky) হার না মানা মানসিকতাকে সম্মান জানিয়ে লড়াই করে চলেছে ইউক্রেনীয় সেনা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতীকী প্রতিবাদ দেখা গেছে। সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবের(Cannes Film festival) রেড কার্পেটেও প্রতিবাদের ঝলক পাওয়া গেছে। ইউক্রেনীয় মহিলাদের উপর রাশিয়ান সেনার আক্রমণ এবং ধর্ষণের তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে অভিনব কায়দায়। এবার শিশুমৃত্যুর খতিয়ান প্রকাশ্যে এলো আন্তর্জাতিক শিশু দিবসের(International Children’s Day) দিনে।রাশিয়ার ইউক্রেন(Russia Ukraine War) যুদ্ধের জেরে এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৬২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানালো জাতিসংঘের শিশু সংক্রান্ত সংস্থা ইউনিসেফ( UNICEF)। ১ জুন ইউক্রেন, রাশিয়া-সহ বহু দেশে শিশুদিবস পালন করা হয়। সেই উপলক্ষেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ। এই ১০০ দিনে ইউক্রেনের শিশুরা কী ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই ছবি তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। ইউনিসেফ- এর ডিরেক্টর ক্যাথেরিন রাসেল (Catherine Russell) বলেন, ”এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না হলে শিশুদের আরও ক্ষতি হবে। সে কথা মাথায় রাখা উচিত।”

বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসন ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে অতি শক্তিশালী গাইডেড-রকেট সিস্টেম সরবরাহ করার কথা জানিয়েছে, যা কিনা ৪৮ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। রুশ বাহিনী এখন পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোডোনেটস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা যাচ্ছে। রাশিয়াকে রুখতে পাশে আছে আমেরিকা। সেখান থেকে অ্যান্টি মিসাইল, অ্যান্টি আর্মার ভেহিকল এবং অ্যান্টি ট্যাঙ্ক সিস্টেম পাঠানো হবে ইউক্রেনকে, জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা।
