আর্থিক অনটনের মধ্যেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রথম দেবশিখা

বাবা গৃহশিক্ষকতা করেন । মা গৃহবধূ। আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো নয়। পূর্ব মেদিনীপুরের এমনই এক প্রত্যন্ত গ্রামের অতি সাধারণ পরিবারের ছাত্রী দেবশিখা প্রধান। তবে পড়াশুনোর অদম্য জেদ ও অধ্যাবসায় চালিয়ে  মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান দখল করেছে সে। তাঁর এই রেজাল্টে খুশি দেবশিখার পরিবার থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলেই।



আরও পড়ুন: ফিজিক্সই ফেভারিট, কলকাতার প্রথম এবং রাজ্যে চুতর্থ স্থানাধিকারি শ্রুতর্ষির


পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ওড়িশা সীমান্তের কাছে প্রত্যন্ত গ্রাম চোরপালিয়া৷। সেখানে শ্রী শ্রী বাসন্তী বিদ্যাপীঠের ছাত্রী দেবশিখা। বাবা গৃহশিক্ষকতা করলেও কাকুর কাছেই পড়ে দেবশিখা। এ ছাড়়া মাধ্যমিকের জন্য একজন শিক্ষিকার কাছে ফিজিক্স পড়ত সে। আর্থিক অনটনের জন্য অন্য কোনও শিক্ষক ছিল না তাঁর। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য নিত সে। মাধ্যমিকে দেবশিখা ৬৯১ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ।


ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে দেবশিখা। জেলায় প্রথম হওয়ার খবর জানতে পেরে তিনি জানান,  ‘খুব অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে৷ ভবিষ্যতে নিট-এ বসার ইচ্ছে রয়েছে, তার পর মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনার পরিকল্পনা রয়েছে৷’


পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে দেবশিখা। আর্থিক অনটনের মধ্যেও মেয়ের অপ্রত্যাশিত রেজাল্টে উচ্ছ্বসিত দেবশিখার বাবা উৎপল প্রধান।তিনি জানান, ‘আমার স্বপ্ন ছিল৷ আমার আর্থিক অবস্থা ভাল নয়৷ গৃহশিক্ষকতা করে সংসার চালাই৷ মেয়ে ভাল রেজাল্ট করে ডাক্তারি পড়তে পারলে আমার স্বপ্নপূরণ হবে৷’ মায়ের এই রেজাল্টে উচ্ছ্বসিত দেবশিখার মা। জানান, ‘আমি ভাবিনি যে ও তৃতীয় হবে৷’

Previous articleফিজিক্সই ফেভারিট, কলকাতার প্রথম এবং রাজ্যে চুতর্থ স্থানাধিকারি শ্রুতর্ষির
Next articleসোনিয়ার পর এবার কোভিড আক্রান্ত প্রিয়াঙ্কা