মুকেশের মৃত্যুতে নীরব! KK-র ঘটনায় বাংলাকে বদনাম করার চক্রান্ত চলছে: সরব গায়ক অভিজিৎ

কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে আকস্মিক মৃত্যু হয় বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী KK-র। আর তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে হৃদযন্ত্র সমস্যার কথা বলে হলেও, চলছে চাপানউতোর। কাঠগড়ায় সেদিনকার অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে এবার বাংলার পাশে দাঁড়িয়ে সুর চড়ালেন মুম্বইয়ের আরেক সঙ্গীতশিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্য (Abhijit Bhattacharya)। স্পষ্ট জানান, এই নিয়ে আলোচনা আসলে বাংলাকে বদনাম করার চক্রান্ত। KK-র মৃত্যু নিয়ে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে। এটা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন অভিজিৎ।

এই প্রসঙ্গে অন্যতম কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী মুকেশের (Mukesh) মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করেন অভিজিৎ। বলেন, লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে অনুষ্ঠানের পরে হোটেলে গিয়েই সেখানে মৃত্যু হয় মুকেশের। মৃত্যু নিয়ে উদ্যোক্তাদের কাঠগড়ায় তোলেননি। সে দিন কেউ মঞ্চ নিয়ে কোনও কথা বলেনি।

এরপরেই একজন স্টেজ পারফর্মার হিসেবে অভিজিৎ বলেন, “আমরা পাওয়ার প্যাক অনুষ্ঠান করি। চড়া আলো, আওয়াজ, ভিড়, গরম এই সব কিছুর সঙ্গেই আমরা অভ্যস্ত। এতে আমাদের শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না।“ অতিরিক্ত ভিড়? অভিজিতের কথায়, ওভার ক্রাউডেড নয়, একে বলে ক্রেজ। এটাই প্রতিটি শিল্পী চান। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক জানান, কলকাতায় অনুষ্ঠান করার জন্য মুম্বইয়ের শিল্পীরা মুখিয়ে থাকেন।

নজরুল মঞ্চের এখনকার পরিস্থিতি নিয়েও যথেষ্ট সন্তুষ্ট অভিজিৎ। বলেন, ২৫ বছর ধরে তিনি নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করছেন। আগে এত ভাল অবস্থা ছিল না। এসি ছিল না। বৃষ্টি হলে ভিতরে জল আসত। এখন নজরুল মঞ্চ ওয়ার্ল্ড ক্লাস অডিটোরিয়াম।

অভিজিতের কথায়, মুম্বইয়ের শিল্পীরা তাদের রোজগারের অর্ধেকটাই কলকাতা থেকে করে। যাঁরা এত সমালোচনা করছে তাঁরা বিয়ে বাড়িতে গাওয়া শিল্পী, মঞ্চ বোঝেন না- তীব্র কটাক্ষ অভিজিতের।

KK-র কোনও অসুস্থতা ছিল না বলে মত অভিজিতের। তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করতেন। যা হয়েছে, সেটা নিয়তি ছাড়া আর কিছু নয় বলে মত অভিজিতের। তাঁর মতো জনপ্রিয় গায়কের মন্তব্য সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিল বলেই মত অনেকের।

আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

Previous articleAmerica: পোষা তোতার সাক্ষীর জেরে ধরা পড়ল মালিকের খুনি!
Next articleমনের জোরেই মাধ্যমিকে সফল ‘বিশেষ ভাবে সক্ষম’ ৯৩৯ জন