৩০ ধরনের জবা ফুল ফুটিয়ে অনন্য নজির সৃষ্টি করল হুগলির বাসিন্দা

সম্প্রতি গোল্ড প্লেটেড মেডেল, অশোক স্তম্ভের ট্রফি সহ বেস্ট ইয়ং অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২ (Best Young Achiever's Award -2022)- এর সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন তিনি। গত বছরেই বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জবা ফুলের উপর লেখা ব‌ই 'টেক্সটবুক অন ফ্লোরিকালচার' (text book on floriculture) প্রকাশিত হয়েছে।

সুমন করাতি, হুগলি

ফুল ভালোবাসেন না এমন মানুষ প্রায় বিরল। সেই ফুল (flower) নিয়েই এবার নজিরবিহীন কাণ্ড ঘটিয়েছেন হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরের বাসিন্দা দীপ চক্রবর্তী( Deep Chakraborty)। পরাগ মিলন ঘটিয়ে এক বা দুই নয়  প্রায় ৩০ ধরনের জবাফুল (Hibiscus rosa-sinensis) ফুটিয়েছেন তিনি। বিশ্বের দরবারে বাংলার নাম উজ্জ্বল করেছেন সিঙ্গুরের (Singur)মধুবাটি গ্রামের বাসিন্দা দীপ।


উদ্ভিদ জগতকে ভালোবাসা সেই ছোট থেকেই। প্রথমে খড়দা রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramakrishna mission) পড়াশোনা, পরবর্তীতে উদ্ভিদবিদ্যায় (Botany) স্নাতকোত্তর লাভ। হুগলির সিঙ্গুরের দীপ চক্রবর্তীর আবিষ্কৃত ভিন্ন প্রজাতির জবাফুলের বিজ্ঞান গবেষনা কেন্দ্র তৈরী হতে চলেছে হাওড়া বোটানিক্যাল গার্ডেনে( Botanical Garden, Howrah)। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে দীপের এই কীর্তি। মিলেছে সম্মান আর পুরস্কার। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা নানা ধরনের জবা ফুলের ৬৭৯ টি প্রজাতির মধ্যে পরাগমিলন ঘটিয়ে প্রায়  ২২ হাজারের বেশী নতুন ধরনের জবা ফুলের মধ্যে, ৩০ ধরনের বিভিন্ন প্রজাতির জবা ফুল ফুটিয়েছেন দীপ। বেঙ্গল সানরাইজ, ডান্সি‌ং‌‌ কুইন, বেঙ্গল লুটাসিয়া, ডার্ক মাদার টাচ সিঙ্গুর সহ বিভিন্ন নামের জবা ফুলের জন্ম দিয়েছে সিঙ্গুরে তাঁর বাড়ির ছাদ-বাগানে। ইতিমধ্যেই দীপের ঝুলিতে ইন্টারন‍্যাশেনাল হিবিসকাস সোসাইটির পদক, ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস-এর স্বীকৃতি। সম্প্রতি গোল্ড প্লেটেড মেডেল, অশোক স্তম্ভের ট্রফি সহ বেস্ট ইয়ং অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২ (Best Young Achiever’s Award -2022)- এর সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন তিনি। গত বছরেই বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জবা ফুলের উপর লেখা ব‌ই ‘টেক্সটবুক অন ফ্লোরিকালচার’ (text book on floriculture) প্রকাশিত হয়েছে।

শনিবার বিকালে হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেনের (botanical garden) বিজ্ঞান বিভাগের গবেষক তথা অতিরিক্ত আধিকারিক ডঃ দেবেন্দ্র সিং সহ তিনজনের প্রতিনিধি দল সিঙ্গুরে দীপের বাড়িতে যান। বাড়ির ছাদ বাগানে ঘুরে দেখে জানান, দীপের জন্য বোটানিক্যাল গার্ডেনে নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করা হয়েছে। যেখানে দীপের তৈরী আরো ভিন্ন প্রজাতির জবাফুলের পরীক্ষাগার তৈরি করা হচ্ছে। সেই পরীক্ষাগারে বহু দর্শনার্থী সহ উদ্ভিদবিজ্ঞানের গবেষকরা এসে বিভিন্ন প্রজাতির জবা ফুল দেখবে। বিশেষ করে, প্রতিদিন ভোরে বিগার্ডেনে আসা ৬ হাজারেরও বেশি মর্নিংওয়াকাররা দীপের তৈরি বাহারি জবা ফুল দেখে মুগ্ধ হবেন।

<



Previous articleউত্তরে থমকে বর্ষা, ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়লেও বৃষ্টির আভাস নেই দক্ষিণবঙ্গে
Next articleউত্তর-পূর্বের ৫ রাজ্যে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা, তবে দিল্লিতে বর্ষণ অধরাই