থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশ(UttarPradesh) পুলিশের(Police) বিরুদ্ধে। থানার মধ্যে বছর ২০-র ওই যুবককে ইলেকট্রিক শক(electric shock) দেয় পুলিশ। ওই তরুণের গোপনাঙ্গ লাঠির বাড়ি মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় ওই যুবককে ছাড়ার জন্য পরিবারের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়। পুলিশি অত্যাচারে গুরুতর আহত যুবক বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুদায়ুন জেলার অলাপুর থানায়।
জানা গিয়েছে, গত 2 মে কাজের থেকে বাড়ি ফেরার সময় বছর কুড়ির ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ তোলা হয় সে নাকি গরু চুরির চেষ্টা করছিল। এই অভিযোগে থানায় তুলে এনে বেধড়ক মারধর করা হয় যুবককে। লাঠির বাড়ি মারা হয় তার গোপনাঙ্গে। শুধু তাই নয় থানাতেই ওই তরুণকে ইলেকট্রিক শক দেয় পুলিশ। এরপর ওই যুবকের পরিবারের লোকজন থানায় এলে ৫০০০ টাকা ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে পুলিশের মারে ওই যুবকের অবস্থা তখন অত্যন্ত গুরুতর। তড়িঘড়ি তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। তবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বর্তমানে বুন্দেলশহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ পুলিশ তাকে এত মার মেরেছে যে তার শরীরের বহু জায়গায় ক্ষত। এমনকি সে কথা বলারও অবস্থায় নেই। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের শীর্ষ মহল। ঘটনায় থানার ইনচার্জ সহ চার পুলিশ কর্মী ও আরও দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার। পাশাপাশি সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের।
আরও পড়ুন- শহরের বুকে কলমের হাসপাতাল! যন্ত্রণা নয়, তবে ‘পেন’ ‘এর চিকিৎসা হয়