প্রেম (love) বিষয়টা বড়ই গোলমেলে, কোনটা আর কোনটা সিরিয়াল বোঝা মুশকিল। দুজনে দুজনকে ভালোবেসেছেন, কিন্তু সম্পর্কটা যে পরকীয়ার (extra marital affair) , তাই মানতে পারিনি সমাজ। অতএব যুগলে যমুনার(Yamuna) জলে ঝাঁপ দেওয়ার (Suicide) সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু একি? যুবতী জলে , অথচ প্রেমিক ডাঙায়। সাঁতরে ফিরে এসে সোজা থানায় গেলেন মহিলা । প্রেমের কাহিনীতে (love story) ছোট্ট টুইস্ট (twist)।


উত্তরপ্রদেশের (UP) প্রয়াগরাজের ঘটনার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে লেখালেখি। ৩২ বছর বয়সি এক মহিলা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বয়সে দু’বছরের ছোট চান্দুর সঙ্গে। পরকীয়া সম্পর্ক চলে বেশ কয়েক বছর। কিন্তু দুজনেই বুঝতে পারেন এই সম্পর্ককে সমাজ মেনে নেবে না। অতএব “একসঙ্গে বাঁচতে না পারি একসঙ্গে মরতে পারব” – এই ফিল্মি ভাবনা নিয়ে যমুনায় ঝাঁপ দেবার সিদ্ধান্ত নেন যুগল। প্ল্যান করে নির্দিষ্ট দিনে যমুনার তীরে হাজিরও হন দু’জনে। কিন্তু মানুষের মনের মধ্যে কী চলছে তা কি বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব? প্রেমিকা বদ্ধপরিকর একসঙ্গেই জীবন শেষ করবেন। সেইমতো জলে ঝাঁপ! কিন্তু জীবন শেষ করা সম্ভব হল না। আসলে কথা তো ছিল দুজনে একসঙ্গে ঝাঁপ দেবেন কিন্তু আরেকজন কই ? চকিতে ঘোর কাটে প্রেমিকার, প্রেমিক তো ডাঙ্গায় দাঁড়িয়ে। প্রেমের কাহিনিতে আসে মোক্ষম ‘টুইস্ট’! তড়িঘড়ি সাঁতরে ফিরে এসে প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনলেন মহিলা। আর এই ঘটনায় প্রেমের নানা রসবোধ নিয়ে মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায়।

প্রশাসন সূত্রে খবর, দুজনের মধ্যে বেশ কিছুদিনের জন্য প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাস খানেক আগে বছর ছয়েকের মেয়েকে নিয়ে পুণেতে বেড়াতে যান ওই মহিলা। আর তখনই তাঁকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলেন চান্দু। ১৮ মে প্রয়াগরাজে ফিরে বিষয়টি জানতে পারেন ওই মহিলা। দু’জনের মধ্যে ঝামেলাও হয়। শেষমেশ দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন একই সঙ্গে যমুনাতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হবেন।কিন্তু মহিলার অভিযোগ, একসঙ্গে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তাঁর পুরুষ সঙ্গী ঝাঁপ দেননি যমুনার জলে। তড়িঘড়ি সাঁতরে নদীর পারে ফিরে আসেন মহিলা।সূত্রের খবর কয়েদগঞ্জ থানায় প্রেমিক চান্দুর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন তিনি।























