দু’দিনের বঙ্গ সফরে এসে আজ, বুধবার হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ায় (chinsura) ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত “বন্দেমাতরম ভবন” পরিদর্শন দিয়ে তাঁর কর্মসূচি শুরু করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ( J P Nadda)। এদিন দুপুর ১২টার কিছু পর বঙ্কিমচন্দ্রের বাড়িতে এসে তা ঘুরে দেখেন নাড্ডা। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়(Locket Chatterjee), সুকান্ত মজুমদার( Sukanta Majumder), শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari), দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)সহ নেতৃবৃন্দ। বাকি নেতারা থাকলেও নাড্ডাকে “বন্দেমাতরম ভবন” মূলত ঘুরিয়ে দেখান সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সভাপতি বলেন, “বঙ্কিমবাবুর এই মহান কর্মভূমিতে এসে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। এই বাড়ি থেকেই পাঁচবছর তিনি কাজ করেছেন। এখান থেকে ভারতের রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত বন্দেমাতরম রচনা করেছিলেন তিনি। আমি খুব সৌভাগ্যবান, সেই বাড়িতে ঘুরে দেখতে পাওয়ায়। বঙ্কিমবাবুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামিদিনগুলিতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
মনে করা হয়, ১৮৭৬ সাল নাগাদ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির
অধীনে কর্ণরত অবস্থাতেই বন্দেমাতরম্ রচনার কথা ভেবেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তবে ঠিক কোন সময় তিনি গানটি রচনা করেছিলেন তা নিয়ে সঠিক কোনও তথ্য নেই। তবে ১৮৮২ সালে বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে বঙ্কিমচন্দ্র যদুভট্টকে গানটিতে সুর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
আরও জানা যায়, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে হুগলিতে কর্মরত থাকাকালীন ৫ বছর বঙ্কিমচন্দ্র চুঁচুড়ার এই বাড়িতে ছিলেন। সেটিই পরবর্তী কালে ”বন্দেমাতরম ভবন” নামে পরিচিত হয়। এ বাড়িতে দুটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন বঙ্কিমচন্দ্র। এবং এই ভবনই বন্দেমাতরম সঙ্গীতের সূতিকাগৃহ হিসেবে বিবেচিত। এর আগে এই ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি( Narendra Modi)। এবার সেখানেই ঘুরে গেলেন নাড্ডা।