ক্ষমতার অপব্যবহার করে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে নাড্ডার দলীয় কর্মসূচি অনৈতিক, দাবি তৃণমূল নেতার

বিজেপি দিনের পর দিন ন্যাশনাল লাইব্রেরির অডিটোরিয়াম ব্যবহার করে তাদের দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি চত্বরজুড়ে জোড়া লাগানো হয়েছে দলীয় পতাকা

কলকাতার আলিপুরের ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে(National library) আজ, বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J P Nadda) দলীয় বৈঠককে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি বা জাতীয় গ্রন্থাগার কেন্দ্রীয় সংস্থা, এখানে কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি করতে দেওয়ার নিয়ম নেই বলেই দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজেপি দিনের পর দিন ন্যাশনাল লাইব্রেরির অডিটোরিয়াম (National library auditorium)ব্যবহার করে তাদের দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি চত্বরজুড়ে জোড়া লাগানো হয়েছে দলীয় পতাকা। যা অনৈতিক বলেই দাবি তৃণমূল (TMC)নেতার।

জয়প্রকাশ মজুমদারের(Jayprakash Majumder) কথায়, “ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি করার নিয়ম নেই। কিন্তু বিজেপি বছরের পর বছর সেই নিয়ম ভেঙে ন্যাশনাল লাইব্রেরির অডিটোরিয়ামে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছে। যা অনৈতিক। যেহেতু ন্যাশনাল লাইব্রেরি একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন ক্ষমতায় রয়েছে, তাই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনের পর দিন রাজনৈতিক কার্যকলাপের জন্য ন্যাশনাল লাইব্রেরির মতো ঐতিহ্যবাহী সংস্থাকে ব্যবহার করছে তারা। এবং ঘুরপথে একটি সোশ্যাল অর্গানাইজেশনের নামে অডিটোরিয়াম বুক করে সেখানে পার্টির কর্মসূচি পালন করছে বিজেপি।”

উল্লেখ্য, বঙ্গ সফরের দুদিনের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই কলকাতায় পা রেখেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মঙ্গলবার রাত ৯টার কিছু পরে তাঁর বিশেষ বিমান অবতরণ করে কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখানেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

আজ, বুধবার হুগলির চুঁচুড়া দিয়ে তাঁর কর্মসূচি শুরু। সূচি অনুযায়ী, বেলা ১২.১৫মিনিট নাগাদ তিনি যাবেন চূঁচড়ায়। সেখান থেকে যাবেন চন্দননগরে। এরপর কলকাতায় ফিরে বেলা তিনটের নাগাদ ন্যাশনাল লাইবেরিতে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। ক্লোজডোর হবে এই বৈঠক। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই বৈঠকেই রাজ্যের বিজেপির শীর্ষ নেতাদের কড়া বার্তা দিতে পারেন নাড্ডা।

অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে ডাক পাননি বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে নতুন করে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে গেরুয়া শিবিরের একাংশের মধ্যে। এখন দেখার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বঙ্গ বিজেপির এই মুষলপর্বকে কীভাবে সামাল দেন!