Sunday, August 24, 2025

“ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচটা নিজেকে প্রমাণ করার ছিল”: জবি জাস্টিন

Date:

ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal) তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল। একটা সুযোগ খুঁজছিলেন নিজেকে প্রমাণ করার। ডুরান্ডের (Durand Cup) সেমিফাইনালেই প্রাক্তন দল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নিজেকে প্রমাণ করলেন জবি জাস্টিন (Jobby Justin)। লাল-হলুদকে হারিয়ে ডায়মন্ডহারবার এফসিকে ফাইনালে পৌঁছে দিতে পারাটাই যেন তাঁর জবাব। এই মুহূর্তটাই এখন জবি জাস্টিনের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এবার সামনে ফাইনাল। তাঁর খেলা যে শেষ হয়ে যায়নি, সেটাই জবাবটা মাঠে দিতে পেরেই গর্বিত তিনি। জবি জাস্টিনের (Jobby Justin) হাত ধরে ডায়মন্ডহারবার এফসি (DHFC) ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হতে পারে কিনা সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।

একসময় ইস্টবেঙ্গল সমর্থক থেকে ক্লাবের নয়ণের মণি ছিলেন জবি জাস্টিন (Jobby Justin)। ডার্বির মঞ্চে লাল-হলুদ জার্সিতে গোল করে রাতারাতি নায়ক হয়ে উঠেছিলেন এই তারকা ফুটবলার। কিন্তু এরপরই যেন ধীরে ধীরে তার ওপর থেকে ভরসা হারাতে থাকে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। তাঁর পারফরম্যান্সের গ্রাফও খানিকটা নীচের দিকে ছিল তখন। এরপরই জবিকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অনেকেই সময় সময় বলেছিলেন যে জবি নাকি শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁর আর খেলা নেই।

সেই সময় থেকেই জেদটা বেড়েছিল। নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদটা আরও জোরালো হয়েছিল। আর সেই সুযোগটাই জবিকে করে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি (DHFC)। তাঁরে সঙ্গে যে ভুল হয়েছিল, সেটাই প্রমাণ করতে মরিয়ে ছিলেন জবি। ডায়মন্ডহারবার এফসির জার্সিতে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে সেই সুযোগ এসেছিল। নিজেকে প্রমাণ করতে পেরে আপ্লুত জবি জাস্টিন। তাঁর নেতৃত্বে দল শুধু জয়ই পায়নি, তিনি নিজেও লাল-হলুদ ব্রিগেডের বিরুদ্ধে গোল করেছেন। জবির সাফ বার্তা নিজেকে প্রমাণ করতে পেরে এখন তিনি স্বস্তি পেয়েছেন।

জবি জাস্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “এটা অবশ্যই আমার জন্য একটা বিশেষ মুহূর্ত। এই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থেকেই আমি খেলাটা শুরু করেছিলাম। সেই ক্লাব থেকে যখন গিয়েছিলাম, সেই সময় সকলেই আমার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে আমি নাকি শেষ হয়ে গিয়েছি। আমার খেলা যে এখনও শেষ হয়নি সেটা দেখানোর জন্য এই ম্যাচটাই ছিল আমার কাছে সবচেয়ে বড় মঞ্চ। নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছি। এটাই ভালো লাগছে”।

এবারের ডুরান্ড কাপেই অভিষেক হয়েছে ডায়মন্ডহারবার এফসির। দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে তারা। সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দিয়েছে। তাদের নিয়ে বাংলার ফুটবলে এখন হৈচৈ। ঠোট আর কাপের মধ্যে দুরন্ত এখন শুধুই একটি ম্যাচের।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version