বিরিয়ানি বাক্সে সোনা যায় বিজয়নের কাছে! কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

গুরুতর অভিযোগ উঠল বাম শাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের(Pinarai Vijayan) বিরুদ্ধে। সোনা পাচার(Gold Smuggling) মামলায় প্রধান অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের(Swapna Suresh) অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সব কিছুই জানতেন। এমনকি দুবাইতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে টাকা ভর্তি ব্যাগ পৌছে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি তাঁর সরকারি বাসভবনে বিরিয়ানির কৌটোয় করে পাঠানো হয়েছিল সোনা। স্বপ্নার এহেন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে।

ওনা পাচার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত স্বপ্না মঙ্গলবার কোচির ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বয়ান দেন। এরপর আদালত থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারে সদস্য, এম শিবশঙ্কর ও নলিনী নেট্টো, প্রাক্তন মন্ত্রী কেটি জলিল ও মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব রবীন্দ্রন ও অন্যান্যদের ভূমিকার কথা জবানবন্দিতে জানিয়েছেন। স্বপ্নার অভিযোগ, “২০১৬-তে বিজয়ন তখন দুবাইতে ছিলেন। সেই সময় শিবশঙ্কর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আমি ছিলাম কনসুলেটের সচিব।শিবশঙ্কর আমাকে বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী একটা ব্যাগ ফেলে এসেছেন। তা দুবাইতে পৌঁছে দিতে হবে। কনসাল জেনারেলের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই ব্যাগ কনসুলেটের এক কূটনীতিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কনসুলেটের ওই আধিকারিক যখন ব্যাগ নিয়ে আসেন, তখন আমি বুঝতে পারি যে, এতে নোট আছে।’ স্বপ্নার অভিযোগ, কনসাল জেনারেলের বাড়ি থেকে তাঁরা বিরিয়ানির কৌটো পৌঁছে দিয়েছিলেন তিরবনন্তপুরমের ক্লিফ হাউসে (মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন)। তাঁর দাবি, কৌটোগুলিতে শুধু বিরিয়ানি নয়, ধাতব জিনিস ছিল।”

যদিও স্বপ্নার এই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, একজন অভিযুক্তকে দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এই সব বলানো হচ্ছে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ওই পাচারকাণ্ডে রাজ্য সরকারই প্রথম কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে ধরা পড়ে ব্যাগভর্তি ৩০ কেজি সোনা। যার বাজার মূল্য ছিল ১৪.৮২ কোটি টাকা। এত পরিমাণ সোনা বিমানবন্দরে ধরা পড়ার পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), এনআইএ ও কাস্টমস ডিপার্টমেন্ট। মামলায় মূল অভিযুক্ত স্বপ্নাকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। দীর্ঘ ১৬ মাস জেল খাটার পর গত বছর নভেম্বর মাসে ছাড়া পান স্বপ্না। এরপরই কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন তিনি।


Previous articleপদ্মা সেতু: উদ্বোধনের দিনই নাশকতার আশঙ্কা শেখ হাসিনার
Next articleনূপুর শর্মাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করল দিল্লি পুলিশ