অ্যাম্বুল্যান্স দিল না হাসপাতাল, একরত্তির মৃতদেহ কোলে নিয়ে হেঁটে ফিরলেন বাবা !

অ্যাম্বুল্যান্স না জোটায় বাধ্য হয়েই মেয়ের দেহ কম্বলে জড়িয়ে বাসে চেপে বক্সায় পৌঁছন ওই ব্যক্তি। বক্সায় পৌঁছে এবার নগর পঞ্চায়েতের কাছে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারাও মুখ ফিরিয়ে নেন বলে অভিযোগ

ওড়িশার দানা মাঝির ঘটনার পুনরাবৃত্তি মধ্যপ্রদেশে ( MADHYAPRADESH)।চার বছরের একরত্তি মেয়ের মৃত্যু হলেও, হাসপাতাল মৃতদেহ নিয়ে যেতে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স দিতে অস্বীকার করল। যার নিট ফল, চড়া রোদের মধ্যে সুনসান রাস্তা দিয়ে বছর চারেকের মেয়েকে কোলে নিয়ে হেঁটে চলেছেন সদ্য সন্তান হারানো এক বাবা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরের এমনই এক দৃশ্য দেখে ফের শিউড়ে উঠেছে গোটা দেশ।
জানা গিয়েছে, চার বছরের মেয়ে অসুস্থ হওয়ায় প্রথমে তাকে বক্সা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিজনরা। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার তাকে দামোর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।শেষপর্যন্ত মৃত্যু হয় শিশুটির। মৃত্যুর পর তার দেহ বাড়িতে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন শিশুটির বাবা লক্ষ্মণ আহিরওয়াড়।অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মীরা অ্যাম্বুল্যান্স(Ambulance) দিতে চাননি। শুধু তাই-ই নয়, শিশুটির পরিবারের সঙ্গে তারা দুর্ব্যবহারও করেন।তবু অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন সদ্য সন্তানহারা ওই পিতা।
এরপরের ঘটনা আরও মারাত্মক।অ্যাম্বুল্যান্স না জোটায় বাধ্য হয়েই মেয়ের দেহ কম্বলে জড়িয়ে বাসে চেপে বক্সায় পৌঁছন ওই ব্যক্তি। বক্সায় পৌঁছে এবার নগর পঞ্চায়েতের কাছে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারাও মুখ ফিরিয়ে নেন বলে অভিযোগ। সেখানেও অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে লক্ষ্মণ মেয়ের দেহ কোলে নিয়ে নিজের গ্রামের উদ্দেশে হাঁটতে শুরু করেন।
শিশুটির ঠাকুরদা মনসুখ আহিড়ওয়ার বলেন, হাসপাতালের কর্মীদের কাছে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা আমাদের কথায় কান দেননি। তার পর নাতনির দেহ কম্বলে মুড়িয়ে বাসে চেপে বক্সায় পৌঁছই। বক্সার স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও(Boxer Health Center) গিয়েছিলাম অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা অ্যাম্বুল্যান্স দিতে অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে গ্রামের উদ্দেশে হাঁটা শুরু করি।যদিও দামোর হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক মমতা তিওয়ারি অ্যাম্বুল্যান্স না দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য কেউ আসেননি। আমাদের কাছে এলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা করে দিতাম।


Previous articleরাজ্যসভার ১৬ আসনে নির্বাচন, ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কায় সতর্ক বিরোধীরা
Next articleনিরাপত্তা এবং দূষণ বিধি মেনে সরোবরে রোয়িং চালু শীঘ্রই