সংখ্যালঘুদের হৃদয় দিয়ে আগলে রেখেছে বাংলা, তাই প্ররোচনায় পা নয়! নুপূর কাণ্ডে বার্তা তৃণমূলের

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের তরফে অবশ্য প্রতিবাদী ও বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে সহানুভূতির সঙ্গে শান্তির বার্তা দেওয়া হয়। বিজেপির পাপের জন্য এই ঘটনা। তবে তৃণমূলের বার্তা, সকলকে একজোট হয়ে শান্তি বজায় রাখতে হবে। পাপীদের বিরুদ্ধে লড়াই হবে, তবে কেউ কোনও প্ররোচনায় যাতে পা দেন, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে

বিজেপি নেত্রী তথা মুখপাত্র নুপূর শর্মার পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক মন্তব্য নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। দেশজুড়ে ধিক্কার। প্রবল চাপে গেরুয়া শিবির। যার জেরে নূপুর শর্মাকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। নুপূর শর্মা ও বিজেপির নোংরামি ও পাপের বিরোধিতার রেশ পড়েছে কলকাতা তথা বাংলাতেও। নুপূরের গ্রেফতারির দাবিতে কলকাতার পার্কসার্কস এলাকায় শুক্রবার বিক্ষোভ ও অবরোধ হয়। নবীন জিন্দালের বিরুদ্ধেও শুরু হয় প্রতিবাদ।

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের তরফে অবশ্য প্রতিবাদী ও বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে সহানুভূতির সঙ্গে শান্তির বার্তা দেওয়া হয়। বিজেপির পাপের জন্য এই ঘটনা। তবে তৃণমূলের বার্তা, সকলকে একজোট হয়ে শান্তি বজায় রাখতে হবে। পাপীদের বিরুদ্ধে লড়াই হবে, তবে কেউ কোনও প্ররোচনায় যাতে পা দেন, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

তৃণমূলের তরফে আরও বার্তা, বাংলার বুকে সংখ্যালঘুদের পাশে তো আছে সংখ্যাগুরুরাই। এ রাজ্যে সংখ্যালঘুদের হৃদয় দিয়ে, বুক দিয়ে আগলে রাখেন সংখ্যাগুরুরা। দেশের মধ্যে সংখ্যালঘুদের জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত বাংলা। কোথাও কেউ সংখ্যালঘুদের অপমান করে থাকলে, আঘাত দিয়ে থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদে সরব হয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এনন মন্তব্যের জন্য বিজেপি নেতা-নেত্রীদের প্রকাশ্যে গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন।

এ রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে তো তৃণমূল হারিয়েছে। তাই ভোটে জিততে না পেরে বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে। তৃণমূল নেতাদের পিছনে এজেন্সি লাগিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের রাজনৈতিক লড়াই জারি থাকবে। তবে যে ঘটনা দিল্লির সেই ঘটনার জন্য বাংলায় বিক্ষোভ, অবরোধ সমুচিন নয়। এরফলে অনেক সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছেন, আর সেটাই চাইছে বিজেপি। এতে তো বিজেপির সুবিধা। বিজেপি তো বাংলায় অশান্তি চাইছে। তাই বিজেপির উস্কানি ও প্ররোচনায় পা দিয়ে ওদের হাতে অস্ত্র তুলে না দেওয়ার পরামর্শ শাসক দলের তরফে। তৃণমূলের স্পষ্ট বার্তা, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। তবে সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে নয়।

প্রসঙ্গত, নূপুর শর্মার গ্রেফতারির দাবিতে পার্কসার্কাসের মতো হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া, ধুলাগড়, সলপ ব্রিজেও অবরোধ হয়। পুলিশ এসে অবরোধ তোলে। ইমামরাও বার্তা পাঠিয়েছেন। কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছেন। ধীরে ধীরে সমস্যা অনেকটাই মিটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে।

আরও পড়ুন- নাড্ডার নির্দেশকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে ফের বঙ্গভঙ্গের দাবিতে সরব বিজেপি বিধায়ক

 

Previous articleনাড্ডার নির্দেশকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে ফের বঙ্গভঙ্গের দাবিতে সরব বিজেপি বিধায়ক
Next articleতৃণমূল পরিষদীয় দলের বৈঠক: বিধানসভায় দলের বিধায়কদের ১০০ শতাংশ উপস্থিতিতে জোর