দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ থাকার পর শুক্রবার খবর ছড়ায় প্রয়াত হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফ(pervez musharraf)। জানা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ থাকার পর শুক্রবার দুবাইয়ের(Dubai) এক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর মুশারফের পরিবারের তরফে জানানো হল, ৭৮ বছর বয়সী মুশারফের মৃত্যু হয়নি। তিনি গুরুতর অসুস্থ এবং হাসপাতালে ভর্তি।

এদিন মুশারফের টুইটার থেকে একটি বার্তা পোস্ট করা হয় তাঁর পরিবারের তরফ থেকে। যেখানে জানানো হয়, “পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, তিনি ভেন্টিলেটরে নেই। শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ৩ সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। একাধিক অঙ্গ বিকল হতে শুরু করেছে। এবং স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সম্ভাবনা কম। তাঁর দৈনন্দিন জীবনযাপনে স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য প্রার্থনা করুন।”
Message from Family:
He is not on the ventilator. Has been hospitalized for the last 3 weeks due to a complication of his ailment (Amyloidosis). Going through a difficult stage where recovery is not possible and organs are malfunctioning. Pray for ease in his daily living. pic.twitter.com/xuFIdhFOnc
— Pervez Musharraf (@P_Musharraf) June 10, 2022
উল্লেখ্য, সেনা প্রধান থাকাকালীন ১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন পারভেজ মুশারফ। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন তিনি। কার্গিল যুদ্ধের পিছনে মূল মাথা ছিলেন এই মুশারফ। ২০০৭ সালে সংবিধান অমান্য করে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য মুশারফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও এই মামলায় মাত্র একবারই আদালতের সামনে হাজিরা দিয়েছিলেন মুশারফ। তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকদল মুসলিম লিগ এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট থেকে মুশারফের নাম সরিয়ে নেয়। এরপর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালে বিদেশ যান তিনি। সেই থেকে দুবাইতেই ছিলেন মুশারফ।
