কম্বোডিয়াকে দাপটে হারিয়ে এএফসি এশিয়ান কাপের (AFC Asian Cup) যোগ্যতা অর্জন পর্বের চূড়ান্ত পর্যায়ের ম্যাচে অভিযান শুরু করেছে ভারত (India)। ম্যাচে জোড়া গোল সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chhetri)। শনিবার গ্রুপ ‘ডি’-র দ্বিতীয় ম্যাচে সুনীল ছেত্রীদের সামনে এবার আফগানিস্তান। যারা প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের কাছে হারলেও ধারে-ভারে কম্বোডিয়ার থেকে এগিয়ে। কম্বোডিয়া ম্যাচ জেতার পর বৃহস্পতিবার বিশ্রামে ছিলেন ভারতীয় ফুটবলাররা। কিন্তু হারুন আমিরি, শরিফ মুখাম্মদদের নিয়ে ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে ইগর স্টিমাচের। ভিডিও দেখে চলছে প্রস্তুতি।
কম্বোডিয়া ম্যাচে জয় ক্রোয়েশিয়ান কোচকে স্বস্তি দিলেও ভারতীয় দলের কোচ প্রশ্ন তুলে দিলেন, কেন সুনীলকেই বারবার গোল করে দলকে জেতাতে হবে? কেন বাকিরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন না? এই নিয়ে স্টিমাচ বলেন, “আবার সুনীল গোল করে জেতাল। আমরা ৪-৫ গোলে জিততে পারতাম। অন্যরাও চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। আমি আশা করেছিলাম লিস্টন, মনবীর, উদান্ত, আশিক, সাহালরা গোল পাবে।” এর পরই স্টিমাচ যোগ করেন, “ওদের প্রত্যেকের গোল করা উচিত। দ্রুত এই কাজটা শুরু করতে হবে। সুনীলকে ছাড়া ওদের খেলা শিখতে হবে। অভ্যাস করতে হবে, সুনীলকে ছাড়া খেলতে।”
সুনীল অবশ্য এত কিছু ভাবছেন না। অনেকদিন পর কলকাতায় জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করে ম্যাচ জিতিয়ে খুশি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাঁর ৮২ গোলের প্রসঙ্গ উঠতেই ভারত অধিনায়ক বলেন,”এতগুলো গোল করেছি দেখে মনে হচ্ছে আমার বয়স অনেক বেড়ে গিয়েছে। আসলে আমাকে ছোটবেলা থেকে যাঁরা দেখেছেন তাঁরা জানেন, আমি পরিসংখ্যান নিয়ে কখনও মাথা ঘামাই না। দল প্রথম ম্যাচ জিতেছে। এটাই বড় ব্যাপার।” সুরেশ, রোশন, আনোয়ার ভাল খেলায় তাঁদের প্রশংসা সুনীল ও স্টিমাচের মুখে। কম্বোডিয়া ম্যাচ জিতিয়ে সুনীল বলে গেলেন, “সমর্থকদের বলছি, শনিবার আফগানিস্তান ম্যাচেও মাঠে আসুন। আমাদের পার্টিতে মেতে উঠুন।”
আরও পড়ুন:Kane Williamson: করোনায় আক্রান্ত কেন উইলিয়ামসন