তৃণমূলের সমর্থনে বিজেপি-র ৭ বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহার

তৃণমূল (TMC) বিধায়কদের সম্মতির ভিত্তিতে বিজেপির (BJP) ৭ সাসপেন্ডেড বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহার হল। এবার থেকে বিধানসভার (Assembly) অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার, অধিবেশন শুরুর পর সাসপেনশন প্রত্যাহারের পক্ষে মত দেন তৃণমূল বিধায়করা। বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির (BA Committee) বৈঠকে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ ৭ বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন তুলে নেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। ১৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে অধিবেশন। সেই মতো শেষ ২ দিন অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা।

বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে হট্টগোল বাধায় বিজেপি। এরপরের অধিবেশনে শাসকদলের মন্ত্রী-বিধায়কদের দিকে মারতে যান গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। সেই ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-সহ ৭ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। এর প্রতিবাদে অধিবেশন বয়কট করে বিজেপি। সাসপেনশনের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টেও যায় বিজেপি। বিধানসভার রীতি মেনে বিধায়কদের সাসপেনশনের বিষয়টির মেটানোর নির্দেশ দেয় আদালত। তারপরই স্পিকারের কাছে জোড়া প্রস্তাব পেশ করে বিজেপি। আবেদনে পদ্ধতিগত ত্রুটি আছে বলে তা খারিজ করে দেন বিধানসভার স্পিকার। এদিন, ফের সাসপেন্ডেড বিজেপি বিধায়করা আবেদন জানান। তাতে তৃণমূল বিধায়কদের সমর্থন করায় শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামী, মনোজ টিগ্গা, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, নরহরি মাহাত-সহ ৭ জনের সাসপেনশন তুলে নেওয়া হয়।


তৃণমূল বারবারই বিরোধীদের দায়িত্বশীল ভূমিকার পক্ষে সমর্থন জানায়। বিধানসভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীরা সঠিকভাবে কাজ পরিচালনায় সহযোগিতা করুক সেটা চায়। এদিনের ঘটনায় সেটাই আবর প্রমাণ হল।

 

 

Previous articleনিয়োগে অনিয়ম, এবার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের চাকরি হারালেন সিপিএম নেতার ছেলে
Next articleস্নানযাত্রার পর অসুস্থ জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা, দিন কাটাচ্ছেন নিভৃতবাসে