স্নানযাত্রার পর অসুস্থ জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা, দিন কাটাচ্ছেন নিভৃতবাসে

সদ্য শেষ হয়েছে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। খুশির সাজে সেজে উঠেছে পুরীর মন্দির। ২ বছরের কোভিড বিধিনিষেধের পর এবছর স্নানযাত্রার দিন পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় পুরীর মন্দির। কিন্তু ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ভগবান। তাই বন্ধ মন্দির। চলছে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার চিকিৎসা ।



আরও পড়ুন:আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
href=”https://biswabanglasangbad.com/2022/06/12/dont-visit-howrah-police-advise-bjps-suvendu-adhikari/”>শুভেন্দু অধিকারীকে হাওড়ায় যেতে মানা পুলিশের


কথিত আছে, পূর্ণিমায় বেশি জল দিয়ে স্নান করলে ভগবান অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই তাঁদের নির্জনে চিকিৎসা করা হয়। এ সময় তাঁদের অনেক ওষুধ দেওয়া হয়। অসুস্থতায় ভগবানকে শুধুমাত্র সাধারণ ভোগ নিবেদন করা হয়। ভগবানের স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে ভক্তদের জন্য ১৫ দিন দর্শন বন্ধ রাখা হয়। এসময় ছাপ্পান্ন ভোগের পরিবর্তে তাঁদের অসুখের উপযোগী সহজপাচ্য পুষ্টিকর খাবার ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়। আয়ুর্বেদ মতে তাঁদের চিকিত্‍সা চলে।


গরম থেকে বাঁচতে স্নানযাত্রায় ১০৮ কলসি জল ঢেলে প্রতি বছর স্নান করানো হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। এরপরই সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন তিন ভাইবোন। অসুখ সারাতে এই সময় ১৪ দিনের জন্য তাঁদের সবার অলক্ষ্যে রাখা হয়। বহু বছর ধরেই এই প্রথা চলছে পুরীর মন্দিরে। এই সময় মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। রথের আগে এই ১৪ দিন জগন্নাথের দর্শন করতে পারেন না সাধারণ ভক্তরা।

শরীর ঠিক হলেই আষাঢ় মাসে বেরোবে জগন্নাথ-বলরাম ও সুভদ্রা। আষাঢ়ের শুক্লপক্ষে অর্থ্যাৎ এ বছরের ১ জুলাই রথযাত্রায় বের হবেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা। তিনটি রথে করে বসে বিশাল শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে তাঁদের মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে যাবেন। সেখানে সাত দিন বিশ্রামের পর দশমীর দিন প্রভু মূল মন্দিরে ফিরে আসবেন।

Previous articleতৃণমূলের সমর্থনে বিজেপি-র ৭ বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহার
Next articleরাজভবনের সামনে কংগ্রেসের বিক্ষোভ ভেস্তে দিল পুলিশ