কৃষি আইনের মত অগ্নিপথও প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে সরকার: বার্তা রাহুলের

সেনা নিয়োগের নয়া প্রকল্প অগ্নিপথকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। আর এই প্রকল্পের বিরোধিতায় শনিবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, বিতর্কিত ৩ কৃষি আইনের মতো এই অগ্নিপথ(Agnipath) প্রকল্পও প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি লাগাতার হিংসাত্মক আন্দোলনের(Protest) বিরোধিতা করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আবেদন জানিয়ে হবু সেনা জওয়ানদের বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi)।

সেনায় চাকরিপ্রার্থী হাজার হাজার যুবকের স্বতঃপ্রণোদিত বিক্ষোভের জেরে দেশের অন্তত ১২টি রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত। এহেন পরিস্থিতিতে বিতর্কিত অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব হয়ে এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, “৮ বছর ধরে লাগাতার বিজেপি সরকার জয় জওয়ান, জয় কিষান আদর্শের অপমান করে চলেছে। আমি আগেই বলেছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে তিনটি কালা কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। ঠিক তেমনই ওকে ‘মাফিবীর’ (Mafiveer) হয়ে দেশের যুবকদের কথা শুনতে হবে। আর অগ্নিবীর প্রকল্প প্রত্যাহার করতে হবে।” পাশাপাশি বিক্ষোভরত যুবকদের উদ্দেশ্যে হাসপাতাল থেকে বার্তা দিয়ে এদিন সোনিয়া গান্ধী বলেন, “আমার খারাপ লাগছে যে সরকার আপনাদের কন্ঠস্বর উপেক্ষা করে নতুন এই দিশাহীন প্রকল্প ঘোষণা করে দিয়েছে।” সোনিয়া বলেন, আপনাদের সকলের কাছে আমার অনুরোধ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেস আপনাদের সঙ্গে আছে।

এদিকে মোদি সরকারের এই প্রকল্পের বিরোধিতায় আন্দোলন এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে বিহারে ট্রেন চলাচল ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। শনিবার ভারতীয় রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে বিহারে ভোর ৪ টে থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত কোনও ট্রেন চলবে না। গোটা দেশের মধ্যে এই মুহূর্তে বিহারের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। বিক্ষোভ সামলাতে বিহারের ১২টি জেলায় ইন্টারনেট, মোবাইল ও টেলিফোন পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত এই জেলাগুলির ইন্টারনেট ও টেলিকম পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে ওই বারোটি জেলাকে রাজ্যের বাকি অংশের থেকে কিছু সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহারের স্বরাষ্ট্র দফতর। এরই মাঝে এবার বিহারে ভোর ৪ টে থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হল। রেলের রিপোর্ট বলছে, গত কয়েকদিনের হিংসাত্মক আন্দোলনের জন্য ২০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে রেলের।


Previous articleনিঃশব্দে কাজ করার খতিয়ান প্রকাশ করেলেন অভিষেক, কী আছে পুস্তিকায়
Next articleকেন্দ্রের পাশে কঙ্গনা, ‘অগ্নিপথ’কে গুরুকুলের সঙ্গে তুলনা ‘ক্যুইন’-এর