অগ্নিপথ প্রকল্পের (Agnipath) প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) মন্তব্যের তুমুল সমালোচনা হয়। কারণ তিনি বলেছিলেন, সেনায় কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে দলীয় পার্টি অফিসে দারোয়ান হিসাবে তাদের নিয়োগ করা হবে। এবার কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি (G Kishan Reddy) বলেন, চুল কাটা, গাড়ি চালানো, কাপড় কাচা- এইসব কাজেই পারদর্শী হবেন অগ্নিবীররা। কারণ, তাঁদের নাকি এই সব কাজেরই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের বৈঠকে রেড্ডি বলেন, সেনাবাহিনীতে ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, নাপিতের মতো নানা কাজের জন্য কর্মী দরকার। ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের মাধ্যমে নিযুক্তরা, এই সব কাজেই পারদর্শী হবে! তাহলে দেশের তিন সেনাপ্রধান সাংবাদিক বৈঠক করে যে কথা বললেন, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের আকাশ-পাতাল তফাৎ। সেনার দক্ষতা বাড়ানোর যে কথা বলা হচ্ছিল, তাহলে সেই প্রশিক্ষণ কি পাবেন না অগ্নিবীররা? তাহলে চারবছর পর অবসর নিয়ে তাঁরা নিজেদের কী হিসেবে পরিচয় দেবেন! তাঁদের জন্য কোন কর্মক্ষেত্র অপেক্ষা করছে? প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনরা একইসঙ্গে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, গাড়ি চালানো, কাপড় কাচার প্রশিক্ষণ শেষ করে কী বিশেষ সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে?
আরও পড়ুন- “দাদামণি যে চাকরি দিয়েছেন, তাঁর হিসেব কে নেবে?”, নাম না করে শুভেন্দুকে তোপ মমতার
রাজনৈতিক মহলের প্রায় সব বিজেপি বিরোধীরাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথার তুমুল সমালোচনা করেছেন। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) বলেন, এই মন্তব্যের মাধ্যমেই প্রকাশ পাচ্ছে অগ্নিবীরদের নিয়ে কেন্দ্র কী ভাবছে। এই ধরনের মন্তব্য করা নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কথার সমালোচনা করেন। এমনকী বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীও প্রতিবাদে সামিল হন।