সংস্কৃত শিক্ষার উন্নতিতে নয়া উদ্যোগ রাজ্যের, টোলগুলিকে আনা হবে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে

সংস্কৃত শিক্ষার উন্নতিতে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার, বিধানসভার (Assembly) প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জানান, প্রাচীন ভারতের শিক্ষা বিস্তারের অন্যতম পীঠস্থান নবদ্বীপে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় (Sanskrita University) গড়ে তোলা হচ্ছে। তার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি, কোচবিহার-সহ রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় সংস্কৃত টোল ছিল। যা মহাবিদ্যালয় নামে পরিচিত। সরকারের ধাপে ধাপে তা আবার চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলিকে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

নবদ্বীপ একটা সময়ে ছিল গোটা বাংলার সাংস্কৃতিক রাজধানী। ন্যায়, সাংখ্য, বেদান্ত, কাব্য, অলঙ্কার চর্চায় চৈতন্যদেবের জন্ম ও প্রাথমিক কর্মস্থানের খ্যাতি ছিল গোটা ভারতে। সেসব এখন অতীত। তবে সেই গৌরব আবার ফিরিয়ে আনতে নবদ্বীপে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। গবেষণাকেন্দ্রের বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। নবদ্বীপে ভাগীরথীর কাছে ফরেস্ট ডাঙায় বালির চরে তৈরি হয়েছে ৬ তলা বাড়ি। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে। সংস্কৃতের পাশাপাশি, ভারততত্ত্ব এবং প্রাচ্যতত্ত্ব নিয়েও গবেষণার সুযোগ থাকবে। সংস্কৃত শিক্ষার প্রসারে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ ইতিমধ্যেই বিদ্বজ্জনের প্রশংসা লাভ করেছে। রাজ্যের সমস্ত টোলকে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টারের অধীনে রাখা এবং টোলগুলির সিলেবাস বদলে সময়োপযোগী করার জন্য ২৬ কোটি টাকা আগেই বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। নবদ্বীপে সংস্কৃত গবেষণাকেন্দ্র চালু হলে পশ্চিমবঙ্গে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও কৃষ্টি চর্চার গৌরবে নতুন পালক যোগ হবে বলেই মনে করছেন সংস্কৃত ভাষার অনুরাগীরা।


Previous articleরাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী, বিল পাশ বিধানসভায়
Next articleঠাকরের উপর আস্থা আছে, শীঘ্রই মিলবে সমাধানসূত্র: আশ্বস্ত করলেন পাওয়ার