রাষ্ট্রপতি ভোটে জিততে অনৈতিকভাবে সরকার ফেলার উদ্যোগ মহারাষ্ট্রে: বিজেপিকে ভর্ৎসনা মমতার

পুরনো ঘোড়া কেনাবেচার অঙ্কে এবার মহারাষ্ট্রে(Maharastra) সরকার ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি(BJP)। শিবসেনার(Shiv Sena) ৪০-এর বেশি বিধায়ককে হাইজ্যাক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অসমে(Assam)। এই ইস্যুতেই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। পাশাপাশি অনৈতিক ভাবে সরকার ফেলার অভিযোগ তুলে পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের(Uddhab Thakre)। মমতার অভিযোগ, আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জেতার ক্ষমতা নেই বিজেপির। তাই সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একইসঙ্গে দেশের যুক্তরাষ্ট্র পরিকাঠামোকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সামনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। পূর্ণ সম্মান জানিয়েই বলছি, ১ লক্ষের বেশি ভোট কম পড়ছে বিজেপি-র। তাই অনৈতিকভাবে, অসাংবিধানিক ভাবে, হাওয়ালার টাকা দিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সিবিআই, ইডি সবাইকে গ্রেফতার করে। আমার দলেরই ২০০ জনকে নোটিস দিয়েছে, যারা অভিযুক্তই নয়। অথচ বিজেপি টাকা বিলিয়ে সব কিছু ঘটিয়ে চলেছে, টাকা খরচের কোনও সীমা নেই ওদের, সেটা কি হাওয়ালা নয়? এটা দুর্নীতি নয়?”

এখানেই না থেমে মুখ্যমন্ত্রী আরও যোগ করেন, “একটা দল টাকার বিনিময়ে লোকজনকে কিনে নিচ্ছে। অসমকে দোষ দিই না। ভয়ঙ্কর বন্যায় বিপর্যস্ত গোটা রাজ্য। সেই সময় মানুষকে সাহায্য করার বদলে কেন্দ্র বিরক্ত করছে অসম সরকারকে। বিধায়ক কেনাবেচার কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। এই বিধায়কদের বাংলায় পাঠিয়ে দিন না! আতিথেয়তা জানি আমরা। গণতন্ত্র কীভাবে রক্ষে করতে হয়, দেখে নেব। মহারাষ্ট্রে যা ঘটছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ভারতে আদৌ গণতন্ত্র রয়েছে কিনা, সন্দেহ হচ্ছে আমার। কোথায় গণতন্ত্র? মানুষ কোথায় বিচার পাচ্ছেন? গণতন্ত্রের উপর দিয়ে বুলডোজার চালানো হচ্ছে। আমরা দেশের সংবিধান, নির্বাচনী রাজনীতির জন্য সুবিচার চাই। সুবিচার চাই উদ্ধব ঠাকরের জন্য।” বিজেপির অর্থবল ও পেশিশক্তির এহেন প্রয়োগ সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ মহারাষ্ট্রে হচ্ছে, কাল অন্য রাজ্যেও হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্যই এই ফন্দি। দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি চরম সঙ্কটে। প্রতিবাদ করলেই বুলডোজার চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতায় রয়েছে বলে টাকার বল, পেশিশক্তি দিয়ে খেলছে। কিন্তু একদিন এ সবের কিছুই থাকবে না। তাই বলব, গণতন্ত্রকে এ ভাবে শেষ করবেন না। মহারাষ্ট্র সরকারের জন্য সুবিচার চাইছি আমি। গণতন্ত্রের জন্য এটা কাম্য নয়।”


Previous articleনাবালককে শিক্ষকের চাকরি, নতুন অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে 
Next articleSarfaraz Khan: মধ‍্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে শতরান সরফরাজে, সেলিব্রেশনের ভিডিও পোস্ট বিসিসিআইয়ে