Saturday, August 23, 2025

বারুইপুরে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা থেকে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন কুণাল-বাবুল-দেবাংশুরা

Date:

দিনকয়েক আগে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এসেছিলেন। এবার এলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। করলেন বিরাট পদযাত্রা। একই সঙ্গে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা। ছিলেন বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়, যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এছাড়াও ছিলেন বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার, সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফেরদৌসি বেগম, রাজ্যসভার সাংসদ তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী-সহ নেতৃত্ব। বারুইপুর রাসমাঠ থেকে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস পর্যন্ত প্রায় এই পদযাত্রায় কয়েক হাজার তৃণমূল সমর্থক পা মিলিয়েছেন।

পদযাত্রা শেষে সভা থেকে মূলত একুশে জুলাইয়ের রেকর্ড জমায়েতের ডাক দেন কুণাল, বাবুল, দেবাংশুরা। একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে তুলোধনা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন কুণাল বলেন, “এবছর ২১ জুলাই তাৎপর্য অনেক বেশি। একদিকে রাজ্যজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ার বইছে। অন্যদিকে, দিল্লির ডাক আসছে। আগামিদিনে দিল্লিতে সরকার পরিচালনায় চালিকা শক্তি হয়ে উঠবে তৃণমূল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনই তার প্রমাণ। আমরা গর্বিত, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী। তৃণমূল পরিবারের সদস্য রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হচ্ছে আর গোটা দেশের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি তৃণমূলের প্রার্থীকে সমর্থন করছে।”

একুশে জুলাইয়ের তাৎপর্য বোঝাতে গিয়ে কুণাল আরও বলেন, “সিপিএমের সন্ত্রাসের বিরোধিতা করে ভোটে সচিত্র পরিচয় পত্রের দাবি তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করেছিলেন। সেই মিছিলের উপর গুলি চলেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল। সেই দিনটিকে স্মরণে দেখে তৃণমূল এই সমাবেশ করে ধর্মতলায়। ২১ জুলাই বারবার শক্তি দিয়েছে তৃণমূলকে। এবার ২১ জুলাই রেকর্ড জমায়েত হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা চিরকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকে। তাই বারুইপুর-সহ এই জেলা থেকে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ সেদিন ধর্মতলায় সমাবেশে যাবেন।

একই সঙ্গে এদিনের সভা থেকে কুণাল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতাদের তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, “বারুইপুরের এই পবিত্র মাটিতে শুভেন্দুর মতো একটি চোর, ক্রিমিনাল, ব্ল্যাকমেলার, গদ্দার, বেইমান, মেরুদণ্ডহীন এসেছিল শুনলাম। সরদার মালিক সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে নাম আছে শুভেন্দুর। নারদায় ওকে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গেছে। বিজেপি পার্টি অফিসেই স্ক্রিন লাগিয়ে সেই ছবি দেখানো হয়েছিল। আর এখন সে নাকি বিজেপির নেতা। বিজেপিতে গিয়ে ওয়াশিং মেশিনে পরিস্কার হয়েছে। সিবিআইয়ের উচিত সারদা-নারদা কাণ্ডে অবিলম্বে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা উচিত। বিজেপির কোলে দোল খাচ্ছে। ওই একটি পরিবারের সদস্যরা শহিদের রক্তকে ব্যবহার করে নেতা, মন্ত্রী বিধায়ক, সাংসদ হয়েছে।”

এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও একহাত নেন কুণাল। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের ক্ষমতার থাকলে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করুন। ওনাকে চ্যালেঞ্জ করছি। রাজ্যপালের চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু জগদীপ ধনকড় রাজ্যপালের চেয়ারের অমর্যাদা করছেন। বাংলায় বিজেপির নেতৃত্ব সংকটে। উনি বিজেপি নেতার মতো কাজ করছেন। বিজেপিকে অন্যায়ভাবে অক্সিজেন দিচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজভবন দিয়ে। বিজেপিকে বুকে আগলে রাখছেন রাজ্যপাল।”

এদিনের সভা থেকে কুণাল ঘোষের মতই যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যও শুভেন্দুকে ধুয়ে দেন। একইসঙ্গে “খেলা হবে” ছড়ার তালে তালে মাতিয়ে দেন সভা। বাবুল সুপ্রিয় থেকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়রাও বিজেপিকে একহাত নেন।

আরও পড়ুন- সরকারি হাসপাতালে প্রত্যেক রোগীর জন্য চালু হচ্ছে ‘ইউনিক হেলথ আইডি’ নম্বর 

 

 

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version