রথযাত্রায় এবার চেনা ছন্দে ফিরছে পুরী, সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া ব্যবস্থা ওড়িশা সরকারের

যদিও সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে ওড়িশা সরকার।আজ বৃহস্পতিবার এবং ১ জুলাই শুক্রবার পুরোদস্তুর রথযাত্রায় মেতেছে সমুদ্র শহর। প্রশাসনের অনুমান, রথযাত্রায় অংশ নিতে এ বছর ১৪ লক্ষেরও বেশি ভক্ত সমাগম হবে, যা এখনও সর্বকালীন রেকর্ড।

করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে গত দু’বছর ধরে   সেই পুরনো ছবি দেখা যায়নি পুরীর রথযাত্রায়(Rath Yatra)।যদিও এবার পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় পুরোনো ছন্দে পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দির দেখা যাবে বলে মনে করছেন ভক্তরা। যদিও সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে ওড়িশা সরকার।আজ বৃহস্পতিবার এবং ১ জুলাই শুক্রবার পুরোদস্তুর রথযাত্রায় মেতেছে সমুদ্র শহর। প্রশাসনের অনুমান, রথযাত্রায় অংশ নিতে এ বছর ১৪ লক্ষেরও বেশি ভক্ত সমাগম হবে, যা এখনও সর্বকালীন রেকর্ড।

এদিকে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সবরকম ব্যবস্থা তৈরি রেখেছে প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকাকরণ শেষ না করে কেউ শহরে ঢুকতে পারছেন না। প্রতিটি যাত্রীর টিকাকরণের শংসাপত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কারও টিকাকরণ সম্পূর্ণ না হলে তাঁকে তৎক্ষণাৎ টিকা দেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মাস্ক পরে ঢুকতে হচ্ছে। জগন্নাথদেবের রথের ওপর ৩০০ থেকে ৪০০ জন করে সেবায়েত থাকেন। তাঁদের প্রত্যেকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ অনুযায়ী, সত্যযুগ থেকে রথযাত্রা চালু হয়েছে।  কথিত রয়েছে, সেই সময় রাজা ইন্দ্রদ্যুন্ম স্বপ্ন দেখেছিলেন, বিষ্ণু মন্দির তৈরি করার।  মন্দির স্থাপন করে জগন্নাথ , বলরাম, সুভদ্রার মূর্তি তৈরি ঘিরে বিশ্বকর্মাকে অসন্তুষ্ট করে ফেলেন ইন্দ্রদ্যুন্ম, সেই কারণেই দেবদেবীদের সম্পূর্ণ মূর্তি নির্মাণ না করেই চলে যেতে হয় বিশ্বকর্মাকে।

কথিত রয়েছে, যে শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে রথে চড়ে দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে দেখতে যান জগন্নাথদেব। সেই উপলক্ষ্যে ওই তিথি মেনেই মন্দিরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার আয়োজন হয়। এই যাত্রাকেই রথ যাত্রা বলা হয়। এরপর সাত দিন পর মন্দির থেকে দেবতার ফেরার যাত্রাকে উল্টোরথ যাত্রা বলা হয়।

রথযাত্রা অত্যন্ত একটা পবিত্র দিন বলেই শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। মনে করা হয় যে, রথের দিনে গাছ পোঁতা খুবই শুভ। তাই এইদিন অবশ্যই গাছ লাগান যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দান করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট দিনও হয় না। তবে কথিত আছে, রথের দিন কিছু দান করলে তা অবশ্যই শুভ বলে মনে করা হয়।

 

 

Previous articleRupankar Bagchi: ফের বিপাকে রূপঙ্কর , এবার গান চুরির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে
Next articleমহারাষ্ট্রে ফের টুইস্ট: নাড্ডা-শাহদের অনুরোধে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি ফড়ণবীস