Rabindra Bharati : আচার্য-রাজ্যপালের নির্দেশ পাইনি, স্পষ্ট জানালেন ব্রাত্য বসু

ইতিমধ্যেই বিধানসভায় পাশ হয়েছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সংক্রান্ত বিল ৷ আর সেই নয়া বিল অনুযায়ী রাজ্যপাল নন, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মুখ্যমন্ত্রী ৷

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati University) উপাচার্য নিয়োগ করে বিপাকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। এবার মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ( Education minister)। যেখানে বর্তমান উপাচার্য়ের কার্যকালের মেয়াদ সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বলবৎ, সেখানে রাজ্যপাল উপযাজক হয়ে কীভাবে এই নিয়োগ করতে পারেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আজ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য-রাজ্যপালের কোনও নির্দেশ এখনও রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে পৌঁছয়নি । আর যেহেতু আচার্য বিল বিধানসভায় অনুমোদিত হয়ে গিয়েছে। তাই সামগ্রিকভাবে সবকিছুই পুনরায় খতিয়ে দেখা যায় কিনা, তা রাজ্য সরকার বিবেচনা করবে।

সোশ্যাল মিডিয়া হোক কিংবা সাধারণ গণমাধ্যম, সবসময়ই চর্চায় থাকতে পছন্দ করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। বাংলার রাজ্যপাল হয়েও একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের স্বার্থে অনৈতিক কাজকর্ম করার অভিযোগ বারবারই ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এবারেও ব্যতিক্রম হল না। বৃহস্পতিবার, নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে (Tweeter) রাজ্যপাল জানান, রবীন্দ্রভারতীর নৃত্য বিভাগের অধ্যাপক মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে (Mahua Mukharjee) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করছেন তিনি। আচার্য হিসেবে তিনি উপাচার্য নিয়োগ করলেন বলেও টুইটে জানান ধনকড়। আর এখান থেকেই বিতর্ক শুরু। ইতিমধ্যেই বিধানসভায় পাশ হয়েছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সংক্রান্ত বিল ৷ আর সেই নয়া বিল অনুযায়ী রাজ্যপাল নন, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেখানে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালের কাজ কার্যত সংবিধান বিরোধী। আর যেখানে বর্তমান আচার্যের সময়সীমা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল , সেখানে কী করে জুন মাসেই নতুন আচার্য নিয়োগ করতে পারেন রাজ্যপাল, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । এর আগেই জগদীপ ধনকড়ের এই কাজের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল (TMC)। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করে বলেন, অনৈতিক কাজ করছেন ধনকড়। এবার এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য শিক্ষা দফতরের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়ে দেন রাজ্যপালের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও অফিসিয়াল চিঠি এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকার পায়নি। মন্ত্রী জানান, আলোচ্য সার্চ কমিটি ২০২০ সালে তালিকা সুপারিশ করেছিল। তার ভিত্তিতে আচার্য সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তবে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যপাল নয়, নতুন উপাচার্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় রাজ্যপাল যতই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কথা প্রচার করুন না কেন,  রাজ্য সরকার সবদিক বিচার করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।



Previous articleপ্রতারণার ফাঁদে টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেতা, এক ক্লিকে গায়েব ২.৫ লক্ষ 
Next articleCristiano Ronaldo: পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন রোনাল্ডো: সূত্র