একটি-দুটি নয়, একে বারে ১৬টি গোখরো বার হল ডিম ফুটে। যে কারণে এখন বিস্ময় কাটছে না রমনাবাগানের স্থানীয়দের। লোকালয় থেকে ডিম-সহ গোখরো উদ্ধার করে এনেছিলেন বন দফতরের কর্মী আধিকারিকরা। এর পর বিশেষ পদ্ধতিতে সেই ডিম থেকে বিষধরদের জন্ম দেওয়া হল। সাবলম্বী হয়ে উঠলে সেগুলিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।

বর্ধমান বন দফতরের ব্যবস্থাপনায় ও পর্যবেক্ষণে ছিল এই ডিমগুলি। দেড় মাস পর রমনাবাগান অভয়ারণ্যে কৃত্রিম ভাবে ডিম ফুটে ১৬টি গোখরো সাপের বাচ্চা জন্ম নিল। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একটি কাচের বাক্সে বালির মধ্যে ২১টি ডিম রেখে সেগুলোর বাচ্চা ফোটানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫টি ডিম নষ্ট হয়ে গেলেও প্রায় ৫৬দিন পর ১৬টি ডিম ফুটে বাচ্চা বার হয়েছে।

বিভাগীয় বনাধিকরিক নিশা গোস্বামী জানান, কয়েক মাস আগে আমাদের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা বর্ধমান ও বাঁকুড়া মোড় এলাকা থেকে দুটি মা গোখরো সাপকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে রমনাবাগানে। দুটি সাপের সঙ্গে মোট ৩১টি ডিম ছিল। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে আমরা এই ডিমগুলো থেকে যাতে বাচ্চা জন্ম নেয় তার ব্যবস্থা করি। যদিও প্রাকৃতিক কারণে কিছু ডিম নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে ১৬টি ডিম ফুটে বাচ্চা হয়েছে। কিছুদিন পর এই বাচ্চাগুলোকে আমরা বিভিন্ন জঙ্গল এলাকায় প্রকৃতির বুকে ছেড়ে দেবো।

বন দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে বর্ধমান শহরের সরাইটিকর এলাকার একটি বাড়ি থেকে পাঁচটি সদ্য দেওয়া ডিম সমেত একটি প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা মা গোখরো কে উদ্ধার করে রমনা বাগান ফরেস্টে নিয়ে আসে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। অন্য দিকে রায়না থানার বাঁকুড়া মোড় এলাকার একটি রাইস মিলের ভিতর থেকে ফের ২৭টি ডিম-সহ প্রায় চার ফুট লম্বা একটি মা গোখরোকে উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা। ডিম সমেত মা গোখরোকে উদ্ধার করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের। পরে ফরেস্টে আরও ১১টি ডিম দেয় একটি সাপ। বনদপ্তরের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যায় ডিম ও মা সাপকে প্রথমে একসঙ্গে রাখা হলেও পরে মাকে আলাদা করে দেওয়া হয়। পূর্ণ বয়স্ক সাপগুলোকে বিভিন্ন জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসা হয়।

আরও পড়ুন:পেট্রোল পাম্পে আটক ট্রাক, মিলল ১০ হাজার বোতল ফেনসিডিল!
