Bangladesh : বর্ষার শুরুতেই ভাঙন আতঙ্কে দিন গুনছেন তেঁতুলিয়াপারের পাঁচ শতাধিক পরিবার

গত কয়েক বছরে ভাঙনে আরও প্রায় সহস্রাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: বর্ষার শুরুতেই ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে ভোলার তেঁতুলিয়া নদীতে। এর ফলে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়াপারের পাঁচ শতাধিক পরিবার বিপদের সম্মুখীন। গত কয়েক বছরে ভাঙনে আরও প্রায় সহস্রাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। তবে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী কোনও সমাধান না হওয়ায় তেঁতুলিয়াপারের বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান তাদের দাবি। তা করা না হলে যে কোনও সময় ভোলার মানচিত্র থেকে ভেদুরিয়া ইউনিয়নটি বিলীন হয়ে যাবে। ক্ষতির মুখে পড়বে একটি গ্যাস কূপ, সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে দক্ষিণে চর চটকিমারা খেয়াঘাট পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন চলছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি, বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতসহ বিভিন্ন এলাকা। ভাঙনে বিপদের সম্মুখীন একটি মডেল মসজিদ, দুটি বাজার, একটি গ্যাস কূপ, একটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, লঞ্চঘাট ও কয়েক হাজার ঘড়বাড়ি।

আরও পড়ুনঃ West Bengal: ১৮ জুলাই থেকে স্নাতক স্তরে অনলাইনে ভর্তি শুরু
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরে ভোলা সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট, চর চটকিমারা ও মাঝিরহাট পয়েন্টসহ বিভিন্ন এলাকা দিয়ে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন চললেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। ভাঙন রক্ষার দাবিতে কয়েকবার মাববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও কোনও সুফল পায়নি এলাবাবাসী। এ বছরও শুরু হয়েছে ভাঙন। লঞ্চঘাট ও চর চটকিমারা পয়েন্ট দিয়ে সবচেয়ে বেশি ভাঙছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
তেঁতুলিয়ার ভয়াবহ ভাঙনের ফলে এই এলাকার ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, একটি গ্যাস কূপ, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মডেল মসজিদসহ কয়েক হাজার ঘরবাড়ি হারিয়ে যাওয়ার জন্য দিন গুনছে। দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ভেদুরিয়া ইউনিয়নটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

 

 

Previous articleঅমরাবতী খুনের ঘটনাতেও কি নূপুর শর্মা ইস্যু? তদন্তে নামলো NIA
Next articleনাগরিক সমস্যা সমাধানে হেল্পলাইন নম্বর-QR CODE চালু তৃণমূল বিধায়কদের