লোকসভায় বঙ্গে বিজেপির স্কোর নিয়ে শুভেন্দু-সুকান্তর সংখ্যা তত্ত্বে বিস্তর ফারাক! কটাক্ষ তৃণমূলের

তাহলে কি দুই নেতার মধ্যে মতান্তর রয়েছে? উত্তর, একেবারেই নয়। বরং দলের বিদ্রোহীদের কোপ থেকে রক্ষা পেতে শুভেন্দু-সুকান্ত বঙ্গ বিজেপির হরিহর আত্মা। তা হলে এই সংখ্যার ফারাক হচ্ছে কেন? উত্তর, আসলে এটা সিরিয়াস কোনও হিসাবই নয়

বঙ্গ বিজেপির নেতারা কল্পনার জগৎ থেকে কিছুতেই নিজেদের আলাদা করতে পারছেন না। সম্প্রতি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ২০২৪ লোকসভা ভোটে বাংলায় ৪২টির মধ্যে ৩৬টি আসন পাবে বিজেপি। এখানেই শেষ নয়, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস থেকে শুভেন্দুর দাবি, ওই বছরই বাংলাতেও উল্টে যাবে সরকার। ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।

কিন্তু সেই সংখ্যা মানতে নারাজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি আবার শুভেন্দুর দাবি করা সংখ্যাটি একঘায়ে কমিয়ে দিলেন ১১টি। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিতে এখন তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ রয়েছেন শুভেন্দু-সুকান্ত। সেখানেই বঙ্গ বিজেপি সভাপতি বলেছেন, চব্বিশের ভোটে বাংলায় বিজেপি ২৫টি আসন পাবে।

তাহলে কি দুই নেতার মধ্যে মতান্তর রয়েছে? উত্তর, একেবারেই নয়। বরং দলের বিদ্রোহীদের কোপ থেকে রক্ষা পেতে শুভেন্দু-সুকান্ত বঙ্গ বিজেপির হরিহর আত্মা। তা হলে এই সংখ্যার ফারাক হচ্ছে কেন? উত্তর, আসলে এটা সিরিয়াস কোনও হিসাবই নয়। বলার জন্যই বলা। এবং দু’জনেই জনবিচ্ছিন্ন। শীর্ষ নেতাদের খুশি রাখতে এবং কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে এই টোটকা শুভেন্দু-সুকান্তর। আর মিথ্যার প্রলাপ কোনওদিন একই হয় না। অসংলগ্ন হয়। তাই একে জনের সঙ্গে অপরজনের এই বিশাল সংখ্যার ফারাক।

এদিকে, শুভেন্দুর ৩৬ আর সুকান্তর ২৫ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না। তাঁর কথায়, “ওরা স্বপ্নের পোলাওয়ে ঘি ঢালছে। যে যেমন পারছে ঢালছে। কেউ ৩৬ কেজি তো কেউ ২৫ কেজি। একুশের ভোটের সময়েও দেখেছি। তখন দিল্লি থেকে ঘি আসছিল। কখনও দু’শ কেজি কখনও আড়াইশ। তার পর সবাই দেখেছে, কীভাবে সেই ঘিতে পিছলে গিয়ে কোন পিছনে চলে গেছে ওরা”।

আরও পড়ুন- শুভেন্দু দীর্ঘায়ু হোক, সারদা-নারদা কেলেঙ্কারিতে সুস্থ শরীরে শ্রীঘরে যাক!” কটাক্ষ কুণালের

 

 

Previous articleশুভেন্দু দীর্ঘায়ু হোক, সারদা-নারদা কেলেঙ্কারিতে সুস্থ শরীরে শ্রীঘরে যাক!” কটাক্ষ কুণালের
Next articleFBI- এর প্রথম ১০ ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় একমাত্র মহিলা! কে এই ‘ক্রিপ্টোকুইন’?