২৪-এর আগেই বাংলায় সিএএ: দাবি সুকান্তর, পাল্টা তোপ কুণালের

‘লোকসভা নির্বাচনের আগেই বাংলায় লাগু হবে সিএএ(CAA)’। সম্প্রতি হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক থেকে ফিরে মঙ্গলবার এমনটাই জানালের রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)। বঙ্গে লাগাতার হারের পর সুকান্তের এহেন দাবিতে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, দ্বন্দ্বে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি। বারবার সিএএ-র কথা বিজেপির(BJP) তরফে বলা হলেও এখন তা কার্যকর হয়নি। এই অবস্থায় ভোট কমেছে গেরুয়া শিবিরের। বিশেষত মতুয়া ভোটে(Matua Vote) জোর ধাক্কা খাচ্ছে বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতে সুকান্তর এহেন মন্তব্য আসলে গেরুয়া পালে হাওয়া লাগানোর চেষ্টা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও সুকান্তের এই মন্তব্যের পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েননি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।

এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন, “বিজেপি যা বলে তা করে। রামমন্দির কেন্দ্রীয় বিজেপির লক্ষ্য ছিল। আইন ছাড়াই আমরা তা করে দেখিয়েছি। সিএএ আমাদের লক্ষ্য। আমরা করে দেখাব, ২০২৪ সালের অনেক আগেই।” তবে সুকান্তর এই মন্তব্য শুধুমাত্র বাংলা হারিয়ে যাওয়া বিজেপি ভোট নিজেদের দিকে ফেরানোর চেষ্টা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ বাংলার মতুয়া ভোট বিজেপির অন্যতম ভরসা। তবে সিএএ ইস্যুতে সেই ভোট এখন ভাগ হয়ে গিয়েছে। একটা সময়ে সিএএ নিয়ে মোদি-শাহরা বাজার গরম করলেও বর্তমানে এনিয়ে একেবারে নিশ্চুপ। এই অবস্থায় মতুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রথবার বঙ্গ সফরে এসে সিএএ নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বলেছিলেন, করোনা মিটলেই সিএএ কার্যকর হবে। যদিও তার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। এবার লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে এই ইস্যুতে হাওয়া গরম করতে চাইছে বিজেপি।

আরও পড়ুন:রূপা-কুণাল সাক্ষাৎ ঘিরে জোর জল্পনা! কবে ফুল বদল করছেন “দ্রৌপদী”?

যদিও এই ইস্যুতে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “ওষুধ, সার, পেট্রলের দাম বেড়েই চলেছে। চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণের ত্রিসীমানায় নেই কেন্দ্র। সুদ কমছে। মানুষের উপর আর্থিক চাপ বাড়ছে। সেদিক থেকে নজর ঘোরাতে এসব বলছে। বাংলার মানুষ ভোটের আগে এসব বলার জন্য ওদের প্রত্যাহার করেছে। আমাদের বক্তব্য, যারা এ রাজ্যের নাগরিক, ভোটার তালিকায় নাম আছে, যাঁদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা এ দেশের নাগরিক। একথা তৃণমূল আগেই বলেছে। আজকাল যা ঘটনা ঘটছে এসব বক্তব্য তাদেরই শাখাপ্রশাখা। দেশের মানুষের মধ্যে বিষ ঢালছে। আর্থিক চাপ তৈরি করছে। বাংলার মানুষ এ জিনিসকে সমর্থন করবে না।”