অচেনা উত্তম: মহানায়কের মহাপ্রয়াণ দিবসের আগে অতনু বসুর শ্রদ্ধার্ঘ্য

আপামর বাঙালির ভাবাবেগ তাঁকে ঘিরেই। যাঁর প্রয়াণে শেষ হয়েছিল একটা গোটা অধ্যায়ের। সেই মহানায়ক উত্তমকুমারের ( Uttam Kumar) মহাপ্রয়াণ দিবস (Day of Death) ২৪ জুলাই। সেই দিনটির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে পরিচালক (Director) অতনু বসুর (Atanu Bose) বিশেষ নিবেদন মহানায়কের বায়োপিক (Biographical) ‘অচেনা উত্তম’। নায়ক, পরিচালক, গায়ক এবং প্রযোজক উত্তমকুমারকে জানে বাঙালি। কিন্তু তাঁর জীবনের এমনও অনেক কিছু ছিল যা আজও অজানা, অচেনা। মহানায়কের জীবনের সেই সব অজানা গল্প নিয়েই এই ছবি তৈরি বলে জানিয়েছেন অতনু। ২২ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।

তিনি বাঙালির ম্যাটিনি আইডল- মহানায়ক। দক্ষ অভিনেতা, রোমান্টিকতায় যিনি সেরার সেরা। অথচ তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাঁটাছেঁড়ার অন্ত ছিল না। নাম যশের,পাশাপাশি কুৎসা, অপবাদ, বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েনি। কেরিয়ারের শেষের পর্যায় এসে হয়ত টিকে থাকার আকুতি ছিল তাঁর মধ্যেও। হয়ত নিজের ভুলত্রুটি নিয়ে আত্মখনন করেছেন, পাওয়া আর না পাওয়ার হিসেবও কষেছেন। তা সত্ত্বেও মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অনন্য প্রকৃতি। তাঁর জীবনের সেই সব অজানা বর্ণময় নানাদিক নিয়ে ছবি ‘অচেনা উত্তম’।

ছবিটি নিয়ে পরিচালক(Director) অতনু বসু(Atanu Bose) জানান, এটা তাঁর স্বপ্নের ছবি। ভয় ছিল একটা। কারণ উত্তমকুমার বাঙালির সেন্টিমেন্ট। “যে বিষয়টাতে কেউ হাত দিতে সাহস করেনি এতদিন সেই বিষয় ছবি করছি। কী হবে না হবে। এই বিষয় শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় খুব সাহায্য করেছেন। অভিজ্ঞ মানুষ ছবির পুরো রিসার্চ ওয়র্কটা ওঁর। আমার ইনপুট ছিল তবে সেটা পরে। চিত্রনাট্য ওঁরই লেখা। ছবিটার অফার পাওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল মহানায়কের ইচ্ছে ছাড়া এটা হতে পারে না। আমি তখনই ভেবে নিয়েছিলাম যদি উত্তমকুমারকে নিয়ে যদি ছবি করতেই হয় তবে তাঁর জীবনের জানা ,চেনা ,দেখা বিষয়গুলো নিয়ে নয়, তাঁর বাইরে গিয়ে আমি মানুষ উত্তমকুমারের গল্প বলব। তাঁর জীবনের অজানা দিকগুলো তুলে ধরব। এক সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা এক রক্তমাংসের মানুষ, তাঁর মনপ্রাণ, ভালবাসা, আবেগ, তাঁকে বোঝা না বোঝা সবমিলিয়ে আমি তাই মানুষ উত্তমকুমারকে তুলে আনার চেষ্টা করেছি আমার ছবির মাধ্যমে।“

চরিত্র চিত্রায়ণে পরিচালক রেখেছেন একঝাঁক তারকা এবং নতুন মুখ। ছবিতে উত্তমকুমারের অল্পবয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত তীর্থরাজ বসু। মহানায়ক উত্তমকুমারের চরিত্রে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, স্ত্রী গৌরী দেবীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, অল্প বয়সী গৌরী দেবী স্নেহা দাস। সুচিত্রা সেনের ভূমিকায় দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়- দিতিপ্রিয়া রায়। সুপ্রিয়া দেবীর চরিত্রে সায়ন্তনী রায়চৌধুরী। সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সম্পূর্ণা লাহিড়ী। তরুণ কুমারের ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু, পরিচালক সলিল দত্তের ভূমিকায় রয়েছেন অরিন্দল বাগচী, শক্তি সামন্তর চরিত্রে অনিন্দ্য সরকার, লালু ডাক্তার যিনি শেষদিনেও মহানায়কের পাশে ছিলেন তার চরিত্রে শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে রয়েছেন অভিনেতা প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্য়ায়। সঙ্গীত পরিচালনায় উপালি চট্টোপাধ্যায়। দর্শক মনে কতটা জায়গা করে নিতে পারবে এই ছবি সেটাই দেখার।


Previous articleRain in Mumbai: ভাসছে মুম্বই, লাল সতর্কতা জারি হল বাণিজ্য নগরীতে
Next articlePv Sindhu: মালয়েশিয়া মাস্টার্সের কোয়ার্টার ফাইনালে সিন্ধু