মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য দিলীপের, প্রতিবাদে রাজ্যপালের দ্বারস্থ তৃণমূল প্রতিনিধি দল

দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টে সময় রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে যান তৃণমূলের ৮ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল

বিধানসভা ভোটে গোহারা হারের পরও লজ্জা নেই। নেই এতটুকু পরিবর্তন। ভাষা সন্ত্রাসে বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির জুড়িমেলা ভার। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সম্পর্কে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)মন্তব্যের জেরে তীব্র প্রতিবাদ জানাল শাসক শিবির। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) আগেই ট্যুইট করে বলেন, আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টে সময় রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankar) কাছে যান তৃণমূলের ৮ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। এই দলে ছিলেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), তাপস রায় (Tapas Roy), শশী পাঁজা, সাজদা আহমেদ, মালা রায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাকলি ঘোষদস্তিদার। তাঁরা রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দিয়ে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের পাশপাশি ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা।

রাজভবনে প্রায় ঘন্টা দেড়েকের বৈঠকের পর বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় তৃণমূল প্রতিনিধি দল। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “আমরা ডেপুটেশন দিয়েছে রাজ্যপালকে। আমরা মর্মাহত। বিজেপির এক সাংসদ একজন মুখ্যমন্ত্রী ও মহিলাকে যেভাবে অপমান করলেন সেটা ভাবাই যায় না। তাঁর পরিবারের প্রতি অপমানকর ইঙ্গিত করেছেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যপালের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে কঠিন সাজা দাবি করেছি। তাঁর আরও সংযোজন, “বিগত দিনে মা দুর্গা নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেছিলেন এই দিলীপ ঘোষ। রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করছি। কড়া শাস্তি দাবি করছি। উনি আশ্বস্ত করেছেন।”

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্যপাল পদটি সাংবিধানিক পদ। উনি বাংলার রাজ্যপাল। কিন্তু উনি বিজেপির পক্ষে কাজ করছেন। এখন বল রাজ্যপালের কোর্টে। উনি রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছেন। উনি এমন করলে প্রমাণিত হবে ব-কলমে বিজেপির লোক। বৈঠকের রাজ্যপাল আর টুইটের রাজ্যপালের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর বাবা-মা টেনে কথা বলছেন। উনি কিছু করতে পারছেন না। কারণ, দিলীপ ঘোষ বিজেপি নেতা বলে। আগের রাজ্যপাল কেশরিনাথ ত্রিপাঠি তো এমন ছিলেন না। আগের রাজ্যপালও বিজেপির লোক ছিলেন। তাঁর সঙ্গে তো আমাদের কোনও সংঘাত ছিল না কিন্তু এই রাজ্যপাল কী করছেন সেটা গোটা বাংলা দেখছে।”

এরপরই কুণাল বলেন, “আমরা বারেবারে দেখেছি বিজেপির কথার প্রতিফল ঘটছে রাজ্যপালের কণ্ঠে। আমরা সাংবিধানিক পদে আস্থা রাখি। দেশের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সম্পর্কে এমন আপত্তিকর মন্তব্য ভাবাই যায় না। দিলীপ ঘোষ কোথায় রাজনীতিকে নামাচ্ছেন। রাজ্যপাল শুধু বিজেপির নয়। তাঁর ভূমিকা দেখব। তিনি কথায় কথায় টুইট করেন। তাঁর এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যাতে রাজ্যপাল পদের গরিমা থাকে।”

[1:44 pm, 07/07/2022] Jeena Banerjee:


Previous articleঈদে নিষিদ্ধ হল আলোকসজ্জা, করোনা বিধি মানার নির্দেশ দিল সরকার
Next articleএবার অধিকারী পরিবারের শ্মশান কেলেঙ্কারি, পুর জমিতে বেআইনি দোকান তৈরি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ