২১ জুলাই কাজের হিসেব নিয়ে কলকাতায় আসবেন: কর্মীদের নির্দেশ অভিষেকের

তৃণমূল(TMC) করতে গেলে মানুষের পাশে থাকতে হবে। মানুষের সমস্যা সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকলে তবেই মিলবে ভোটের টিকিট। মঙ্গলবার ধূপগুড়ির(Dhupguri) জনসভা থেকে এভাবেই কর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। স্পষ্টভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, দলের নেতাকর্মীরা কতবার মানুষের কাছে গিয়েছেন তার হিসেব দিতে হবে। কোনও দাদা বা দিদিকে ধরে ভোটের টিকিট মিলবে না। তৃণমূলে এই সব লোকের যে কোনও জায়গা নেই সে কথাও স্পষ্ট করে দিলেন অভিষেক।

এদিনের জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, “আজ আমি ভোট চাইতে আসিনি, মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি। এখানে আমাদের ভোট কম এসেছে। আলিপুরদুয়ার-কোচবিহারে হয়তো আমাদের কিছু ভুল ছিল। সেই ভুলের দায় স্বীকার করছি। আমাদের আরও বেশি করে মানুষের কাছে যেতে হবে।” এরপরই দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন, “ঠিকাদারি করলে তৃণমূলে থাকা যাবে না। হয় ঠিকাদারী করুন, না হলে তৃণমূল কংগ্রেস করুন। তৃণমূলে একটাই নেত্রী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানতে না পারলে অন্য দলে যান। দরজা খোলা আছে। কোনও দাদা-দিদি, স্থানীয় নেতাদের পা ধরে কাজ হবে না। দাদাদের ছত্রছায়া থেকে যা ইচ্ছে তাই করব, এটা চলবে না। মানুষের বদলে নিজের কথা ভাবলে চলবে না। হয় ঠিকাদারি করুন, নয় তৃণমূল করুন। সারা বাংলায় এই নীতি কার্যকর দেখাব।”

এরপরই কর্মীদের বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন, “সাতদিন পর তো কলকাতায় আসবেন, ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। কলকাতা আসার আগে হাতে করে রিপোর্ট আনবেন, গত এক বছরে কে কত বুথে গেছেন, তার রিপোর্ট নিয়ে আসবেন। বুথে যাওয়ার ছবি নিয়ে আসবেন। আনতে না পারলে মনে রাখবেন, তৃণমূল আর কাউকে তুষ্ট করার জন্য চলবে না। মানুষকে খুশি করার জন্য চলে তৃণমূল। মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিতে চায়। কিন্তু কয়েকটা মানুষের মুখ দেখে ভোট দেয়নি। তাদের চিহ্নিত করেছি। পঞ্চায়েত ভোটে তাদের আর টিকিট দেব না। গণতন্ত্রে গণদেবতার রায় শিরোধার্য। শুধু বড় বড় সভা করলে নেতা নয়। মানুষের কাছে যেতে হবে। দু’মাসের মধ্যে সব বুথে কর্মসূচি নিতে হবে। জেলার দায়িত্ব পেলে নিজেকে কেউকেটা ভাবা চলবে না। সামনে দু’টো পিছনে চারটে গাড়ি নিয়ে ঘোরা চলবে না। হেঁটে, সাইকেলে ঘুরুন মানুষের কাছে। তাঁদের কথা শুনুন।


Previous articleIndore: ক্লাস টু তে ফেল, জয়েন্টে প্রথম বারেই ৯৯.৯৩ শতাংশ নম্বর দিনমজুরের ছেলের
Next articleWeather Update: ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপের ভ্রুকুটি দক্ষিণবঙ্গে