Indore: ক্লাস টু তে ফেল, জয়েন্টে প্রথম বারেই ৯৯.৯৩ শতাংশ নম্বর দিনমজুরের ছেলের

জীবনের শুরুতেই বড় ধাক্কা, মাত্র ৭ বছর বয়সে পড়াশোনায় খারাপ হওয়ার তকমা পেয়েছিলেন দীপক প্রজাপতি। তখন ক্লাস টু-তে পড়াশোনা করেন ছোট্ট দীপক, পড়াশোনায় এতটাই অমনোযোগী যে পাশ করতে পারেন নি ফাইনাল পরীক্ষায়। সবাই তখন গালমন্দ করেছিলেন, বলেছিলেন আর যাই হোক দিন মজুরের ছেলের লেখাপড়া হবে না। জেদ চেপে গেছিল ছোট্ট ছেলেটার।

ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়, সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়- ঠিক এই কথাই যেন প্রমাণ করে দিলেন হত দরিদ্র দিনমজুরের ছেলে। নাম দীপক প্রজাপতি (Dipak Prajapati), আপাতত তাঁকে নিয়েই ব্যস্ত ইন্দোর (Indore)। কারণ প্রথম বারের চেষ্টাতেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় (Joint Entrance Examination) ৯৯.৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন এক শ্রমিকের ছেলে।

লক্ষ্য ছিল সেরা হওয়ার। জীবনের শুরুতেই বড় ধাক্কা, মাত্র ৭ বছর বয়সে পড়াশোনায় খারাপ হওয়ার তকমা পেয়েছিলেন দীপক প্রজাপতি। তখন ক্লাস টু-তে পড়াশোনা করেন ছোট্ট দীপক, পড়াশোনায় এতটাই অমনোযোগী যে পাশ করতে পারেন নি ফাইনাল পরীক্ষায়। সবাই তখন গালমন্দ করেছিলেন, বলেছিলেন আর যাই হোক দিন মজুরের ছেলের লেখাপড়া হবে না। জেদ চেপে গেছিল ছোট্ট ছেলেটার। একমাত্র ভরসা ছিল আত্মবিশ্বাস। দরিদ্র পরিবার সেভাবে ছেলেকে পড়াশোনার উপযুক্ত পরিকাঠামো দিতে পারে নি। দীপকের বাবা রাম একবাল প্রজাপতি (Ram Ikbal Prajapati),একজন ওয়েল্ডার হিসাবে কাজ করেন। কিন্তু তাঁর কাজের কোনও স্থিরতা নেই। সবসময় একরকম রোজগারও হয় না। জীবিকা নির্বাহের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই বিভিন্ন কাজ করে পেট চালাবার চেষ্টা করেন তিনি। নিজে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করতে পারেন নি। কিন্তু শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আর গুরুত্ব বুঝে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করেন। সেই ছেলেই আজ তাঁর গর্বের কারণ বটে। নিজের সাফল্যের রহস্য প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে একগাল হেসে দীপক বলেন, “আমার সাফল্যের একটিই রহস্য “নো সোশ্যাল মিডিয়া।” প্রথম বারের চেষ্টাতেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ৯৯.৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে ইন্দোরের দীপক প্রজাপতি এখন সকলের নয়নমণি।


Previous articleশপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নামতে গিয়ে পড়ে আহত অমর রাই
Next article২১ জুলাই কাজের হিসেব নিয়ে কলকাতায় আসবেন: কর্মীদের নির্দেশ অভিষেকের