Monday, November 24, 2025

NASA: আনুমানিক ১৩৮০ কোটি বছর আগের ব্রহ্মাণ্ডের ছবি ধরা পড়ল টেলিস্কোপে!

Date:

Share post:

সৃষ্টির আদিকাল থেকেই রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। অতীতের ব্রহ্মাণ্ডের ছবি সবার সামনে তুলে ধরতে একের পর এক গবেষণা করে চলেছে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। অবশেষে সার্থক হল পরিশ্রম। প্রায় অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখাল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। তাদের টেলিস্কোপে ধরা পড়ব মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থা (Earliest Galaxies)যা আনুমানিক ১৩৮০ কোটি বছর আগের ছবি বলেই মত বিজ্ঞানীদের।

মহাকাশ নিয়ে প্রতিমুহূর্তে গবেষণা করে চলেছে নাসা। সেইমতো একের পর এক স্পেস রকেট (Space Rocket),টেলিস্কোপ (Telescope)মহাকাশে পাঠান হয়, যার মাধ্যমের সৃষ্টির আদি রহস্যের সমাধান করা সম্ভব হয়। সেই কাজেই মিলল বিরাট সাফল্য। টেলিস্কোপে যে ছবি ধরা পড়েছে তা এক নজরে দেখে মনে হবে যেন দীপাবলির রাতের আকাশ। তবে ঘন কালো ক্য়ানভাসে যে আলোর রেখা দেখা গেছে, তা আসলে গ্রহ-নক্ষত্র সমেত একাধিক ছায়াপথ। উল্লেখ্য, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি (James Web Space Telescope) মহাশূন্য়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। প্রায় একমাস ছুটে চলার পর পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বের গন্তব্যে পৌঁছয়। মুলত ২টি উদ্দেশ্যে টেলিস্কোপটিকে প্রেরণ করা হয়। এক, ব্রহ্মাণ্ডের আদি নক্ষত্রগুলোর ছবি তোলা এবং দুই, দূর-দূরান্তের গ্রহগুলি প্রাণধারণের উপযোগী কিনা সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করা। এর মধ্যে প্রথমটিতে সফল হয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ । সোমবার হোটাইট হাউস থেকে তার ঘোষণা করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Baiden)। নাসা (NASA)সূত্রে খবর, যে ছায়াপথের ছবি ধরা পড়েছে টেলিস্কোপের ক্যামেরায়, পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব ৪৬০ কোটি আলোকবর্ষ। কিন্তু এত স্পষ্ট, এত উজ্জ্বল ছবি আগে পাওয়া যায়নি। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ১৩৮০ কোটি বছর আগে ব্রহ্মাণ্ডের সূচনাপর্বের অবস্থা ফুটে উঠেছে ছবিতে। নাসা-র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলশনের (Bill Nelson) কথায়, “প্রতি সেকেন্ডে আলোর গতিবেগ ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল। তাই বর্তমানে নক্ষত্রের যে আলো আমরা দেখি, তা আসলে ১৩০০ বছরের যাত্রা পার করে আমাদের কাছে এসে পৌঁছচ্ছে। এটি প্রথম ছবি হলেও, আরও পিছনে যাচ্ছি আমরা। ব্রহ্মাণ্ডের বয়স ১৩৮০ কোটি বছর। একেবারে সূচনাপর্বেই ফিরছি আমরা।” ওই টেলিস্কোপে সাড়ে ছয় মিটার চওড়া একটি আয়না রয়েছে। অবরোহিত রশ্মি ধরে নেওয়ার উপযুক্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও বসানো রয়েছে তাতে। তাতেই বিকৃত ছায়াপথ ধরা পড়েছে, বিগ ব্যাং-এর পর ৬০ কোটি বছর আগেও যেগুলির অস্তিত্ব ছিল মহাশূন্যে। মহাকাশ গবেষণায় এ এক বড় সাফল্য বলছেন বিজ্ঞানীরা।


spot_img

Related articles

১৭ দিনে কাজ শেষ করলেন রাজ্যের দুই BLO: জানালেন হাজারো সমস্যার কথা

নির্বাচন কমিশন কতটা কাঁটায় ভরা পথে রাজ্যের বুথ লেভেল আধিকারিকদের এসআইআর প্রক্রিয়া করতে বাধ্য করছে, তার প্রমাণ রাখলেন...

পিসেমশাই-বৌমা সম্পর্কে স্বামীকে মারতে সুপারি কিলার! বরাহনগর গুলিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

অবৈধ সম্পর্কের জেরেই বরাহনগরে গুলি চলেছিল, তদন্তে উঠে এলো এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্বামীকে খুন করার জন্য সুপারি কিলার...

দূষণে দমবন্ধ রাজধানীর! বিদেশ সফর নিয়ে মোদিকে কটাক্ষ তৃণমূলের

রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ দূষণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল। সমাজমাধ্যমে তাঁর কটাক্ষ,...

৪৪ বিধানসভার ভোটার মায়ারানী? SIR স্ক্যানের পর হইচই পাণ্ডবেশ্বরে

বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ার মাঝেই পাণ্ডবেশ্বরে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এনুমারেশন ফর্মের কিউআর কোড স্ক্যান করতেই দেখা...