বঙ্গভঙ্গের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছে RSS, “উত্তরবঙ্গ”-কে কেন্দ্র শাসিত করার চক্রান্ত বিজেপির

আরএসএস এবং বিজেপি তাত্ত্বিক ভাবে ছোট রাজ্যের পক্ষেই চিরকাল সওয়াল করে এসেছে। তারা বিশ্বাস করে ভারতবর্ষের মতো বড় দেশে বড় রাজ্যের থেকে বেশি ছোট রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থাকাটা দরকার।

তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) “উত্তরবঙ্গ” নামে বিরাট আপত্তি। বাংলা একটাই। অখণ্ডতা তার পরিচয়। তাই উত্তর বা দক্ষিণ বঙ্গ নয়, শুধু বঙ্গ এবং তা পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। ফলে যাঁরা বাংলাকে উত্তর আর দক্ষিণে ভাগ করেন বা বাংলার মুকুটকে খুলে নিতে চায়, বাংলা ভাগ করতে চায়, তাদের বাড়া ভাতে ছাই পড়বে বলেই মনে করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।

এদিকে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বঙ্গভঙ্গের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের অভিভাবক আরএসএসের (RSS) তাত্ত্বিক নেতারা কেন্দ্রের মোদি সরকারের পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপিকে বঙ্গ ভঙ্গের গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছে। বাংলা ভাগের লক্ষ্যে যে তারা অবিচল, সেটা আরএসএস পরিচালিত স্বরাজ্য পত্রিকার এক প্রতিবেদনে স্পষ্ট করা হয়েছে।

কিন্তু বঙ্গভঙ্গের পিছনে আরএসএসের যুক্তি কী?

আরএসএস এবং বিজেপি তাত্বিক ভাবে ছোট রাজ্যের পক্ষেই চিরকাল সওয়াল করে এসেছে। তারা বিশ্বাস করে ভারতবর্ষের মতো বড় দেশে বড় রাজ্যের থেকে বেশি ছোট রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থাকাটা দরকার। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় দেশের সবথেকে বেশি রাজ্য ভেঙে নতুন রাজ্যের তৈরি হয়েছিল। ভারতের ভৌগোলিক অবস্থানের সঙ্গে ইতিহাস বিচার করে আরএসএস নেতাদের গবেষণা মতো ভারতে পৃথক অঙ্গরাজ্য অথবা কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্য মিলিয়ে মোট রাজ্য থাকা উচিত অন্ততপক্ষে ৫২। সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কারণে ভারতে নতুন রাজ্য তৈরীর ক্ষেত্রে আরএসএসের যে এজেন্ডা, তার মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলা ভেঙে পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা।আরএসএস (RSS) প্রচলিত স্বরোজ পত্রিকায় স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়( Mamata Banerjee) যেভাবে এনআরসি (NRC)এবং নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে চলেছেন তাতে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি এবং সংখ্যালঘু মুসলিমদের দেশ ছাড়া করার কাজটি একেবারেই সহজ নয়। সেই কারণে বাংলা ভাগ করে উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করে ফেলতে পারলে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন চালু করে এই উদ্দেশ্য সাধন করা সম্ভব।


Previous articleJagdeep Dhankar: দার্জিলিং থেকে দিল্লি, গোপনে শাহ-এর সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের
Next articleমহামারির আবহেও নজর কাড়ল জর্জ টেলিগ্রাফের ‘প্লেসমেন্ট ফেয়ার’