Thursday, December 18, 2025

ভরসা নেই দলের! রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আগের দিন থেকে হোটেল-বন্দি বিজেপি বিধায়করা

Date:

Share post:

ক্ষমতা দখলে রাজনীতির আঙিনায় ঘোড়া কেনাবেচা করতে করতে বিজেপির (BJP) এমন হাল যে নিজের দলের বিধায়কদের উপরেই আর বিশ্বাস রাখতে পারছে না। অন্তত বঙ্গ বিজেপির কার্যকলাপ দেখে এটাই বলছে রাজনৈতিক মহল। সোমবার, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে রবিবার হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল রাজ্যের বিজেপি বিধায়কদের। নিউটাউনের হোটেলে রাখা হয়েছে ৬৯ জন বিজেপি বিধায়ককে। সমস্ত ভোট NDA প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) পক্ষে সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।

তবে, বাংলার রাজনীতিতে এই নজির আগে কোনদিন দেখা যায়নি। এভাবে বিধায়কদের হোটেল বন্দি করে রেখে তাঁদের ধরে রাখার চেষ্টা বিজেপি অন্যান্য রাজ্যে করেই থাকে। সাম্প্রতিকতম উদাহরণ মহারাষ্ট্র (Maharastra)। সেখানে গুজরাট থেকে অসম হয়ে গোয়ায় শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের হোটেলে হোটেলে ঘোরানো হয়েছে। আর তার নেপথ্যে যে বিজেপি ছিল তা মহারাষ্ট্রের নতুন সরকার গঠনের পরেই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। তবে নিজের দলের বিধায়কদের প্রতিও যে আর বঙ্গ বিজেপি আস্থা রাখতে পারছে না, তা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগের দিন তাঁদের নিউটনের হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাখাতেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে।

যদি বিজেপির কোনও বিধায়ক তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেন, মুখ পুড়বে বঙ্গ বিজেপির। একেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে ফানুস তারা উড়িয়েছিল তা চুপসে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে ফল প্রকাশের পর থেকে ক্রমে ধস নামছে গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির ৭৭ জন বিধায়কের মধ্যে ৭ জন বিধায়ক আগেই দল ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। এখন বাংলায় বিজেপির ৭০ জন বিধায়ক। এই অবস্থায় একজন বিধায়কের ভোটও এদিক-ওদিক হলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে মুখ দেখাতে পারবেন না বঙ্গ বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। তবে, হোটেলে রাখা হয়েছে ৬৯ জনকে। বাবা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে অর্জুন পুত্র পবন সিং আনুষ্ঠানিকভাবে দল না ছাড়লেও বিজেপি মনে করছে পবনের ভোট তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীর দিকেই যাবে। সে কারণেই তাঁকে হোটেলের রাখা হয়নি।

যদিও বিজেপির দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন দূরবর্তী জেলা থেকে বিভিন্ন বিধায়করা আসেন। তাঁদের যাতে ভোট দিতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণে এই ব্যবস্থা। আসলে বিধায়ক কেনাবেচা করতে নিজেরা যে আচরণ বিরোধীদলের সঙ্গে বিজেপি করে, সেটাই তাদের দিকে বুমেরাং হয়ে আসতে পারে- এই ভয়ে সন্ত্রস্ত গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন- করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী: মহানগরের জনবহুল এলাকায় সচেতনতা প্রচার কলকাতা পুলিশের

 

spot_img

Related articles

মানহানির অভিযোগে প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ কুমার শানু

সংগীতজগতে দীর্ঘ চার দশকের সাফল্যের কাহিনি থাকলেও ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্কে ফের শিরোনামে কিংবদন্তি গায়ক কুমার শানু। প্রাক্তন স্ত্রী...

বড়দিন ও বর্ষবরণে আইনশৃঙ্খলা আঁটসাঁট, পুলিশের ছুটিতে নিষেধাজ্ঞা রাজ্য জুড়ে 

বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গেল বড়দিনের উৎসব। কলকাতার অ্যালেন পার্ক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবের...

বাজেয়াপ্ত যুবভারতীর সিসিটিভি ফুটেজ, নজরে শতদ্রু ঘনিষ্ঠরা

যুবভারতীতে মেসি(Messi) ইভেন্ট চরম বিশৃঙ্খলায় তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার গঠিত সিট(SIT)। যুবভারতীর (Yubha bharati) যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ...

সিইও দফতরের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, শুক্রবার থেকেই মোতায়েন

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর নিরাপত্তায় এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী (central security force) মোতায়েন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে...