দীর্ঘদিন পর বড় পর্দায়  ফিরে ঠান্ডা লড়াইয়ে স্বস্তিকা-ইন্দ্রাণী

১৫ জুলাই মুক্তি পেয়েছে এসভিএফের ছবি ‘কুলের আচার’। নাম না করে এই ছবিকেই ইঙ্গিত করেছেন স্বস্তিকা। সেখানে জুটি বেঁধেছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও মধুমিতা সরকার। আর শ্বশুর-শাশুড়ি ইন্দ্রাণী হালদার ও সুজন মুখোপাধ্যায়।

বেশ কিছু বছর পর বড় পর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। গত সপ্তাহেই মুক্তি পেয়েছে স্বস্তিকা-সোহম জুটির ‘শ্রীমতি’। একেই একেবারে অন্যরকম জুটি। তার উপর নারী কেন্দ্রিক ছবি। তাই এই ছবি নিয়ে আলাদা আগ্রহ ছিল। স্বস্তিকা নিজেও প্রায় প্রতিদিনই হল ভিজিট করেছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে ছবির প্রোমোশন করেছেন। কথা বলেছেন, ছবি তুলেছেন ফ্যানেদের সঙ্গে। কিন্তু এসবের মধ্যেও ক্ষুব্ধ স্বস্তিকা। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে চাঁছাছোলা ভাষায় সরাসরি অভিযোগ তুললেন ডিস্ট্রিবিউটারদের বিরুদ্ধে। আর স্বস্তিকার এই অভিযোগের পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না গত শুক্রবার মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কুলের আচার’-এর অন্যতম অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Halder)। আর এই দুজনের ঠান্ডা লড়াইয়ে সরগরম টলিউড।

বাংলা ছবির হল না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন স্বস্তিকা। আর কাঠগড়ায় দাঁড় করান ডিসট্রিবিউটরকে। লেখেন,”বাংলা ছবি দেখুন, বাংলা ছবি সাপোর্ট করুন কিন্তু কে কীভাবে করবে? ডিসট্রিবিউটার যে ছবি চালাতে চাইবে সেই ছবি চলবে, নতুন প্রোডিউসার হলে তাকে কোনরকম জায়গা দেওয়া হবে না, উঠতি ডিরেক্টর হলে তাকে পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। আর নারী কেন্দ্রীক ছবি হলে তো প্রথম থেকেই বাদ এর খাতায়। ভাল সেল হলেও, মানুষ উচ্ছসিত প্রশংসা করলেও, রিভিউ/ফিডব্যাক সব দারুণ হলেও তাতে কি? হল দেওয়া হবে না আর দেওয়া হলেও এমন শো টাইম দেওয়া হবে যাতে কেউ না যেতে পারে, সেল তলানি তে ঠ্যাকে এবং তৃতীয় সপ্তাহে ছবি উঠিয়ে দেওয়া যায়। শ্রীমতির কপালেও এটাই হল।”

তাঁর মতে, প্রথম সপ্তাহে ‘শ্রীময়ী’-র ১৭টা হল ছিল। আর দ্বিতীয় সপ্তাহে সেটাই হয়ে গেল ৪টে। তাও সমস্ত শো দুপুরে। ডিস্ট্রিবিউটারের নাম উল্লেখ করে অভিনেত্রী লেখেন, “আমাদের ডিসট্রিবিউটর SVF। তাদের নিজেদের প্রযোজিত ছবি এল আজ, তাই সব ভাল শো তাদের, এটাই তো হয়ে এসেছে, এটাই হবে… পরের সপ্তাহে এমনিও উঠিয়ে দেবে। ব্যাস বাংলা ছবিকে এইভাবেই বাংলা ছবির ডিসট্রিবিউটররা সাপোর্ট করবে। শুধু মন দিয়ে অভিনয় করলে হবে? ছবি চলতে দেবে না, তাই নিয়ে ও যুদ্ধ করতে হবে। করেও কিছু হবে না… কাল PVR Diamond Plaza – বিকেল ৪.২০ শো তে ১০০ জনের ওপরে দশর্ক ছিলেন কিন্তু তাও আজকে থেকে একটাই শো দুপুরে। কোটি টাকা খরচ করে ছবি বানানো হয় কিন্তু তাকে দুটো সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে না।”

১৫ জুলাই মুক্তি পেয়েছে এসভিএফের ছবি ‘কুলের আচার’। নাম না করে এই ছবিকেই ইঙ্গিত করেছেন স্বস্তিকা। সেখানে জুটি বেঁধেছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও মধুমিতা সরকার। আর শ্বশুর-শাশুড়ি ইন্দ্রাণী হালদার ও সুজন মুখোপাধ্যায়। এই ছবিটিও নারী কেন্দ্রিক বলা যায়। আর স্বস্তিকার অভিযোগের জবাবে এই ছবির অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদারের মোক্ষম চিমটি। তাঁর মতে, “কী বলে যে স্বস্তিকাকে ধন্যবাদ দেব! নিজ দায়িত্বে ‘কুলের আচার’-এর অনেক বড় প্রচার করে দিলেন।’’

ছোট বড় পর্দা মিলিয়ে দীর্ঘদিন টলিউডের কাজ করা অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদারের মতে, প্রথম সপ্তাহে ছবি হাউসফুল যাবে এটা স্বাভাবিক। দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বোঝা যাবে আসল দর্শকের সংখ্যা। তখনও একই রকম পরিস্থিতি থাকলে জায়গায় থাকবে। না হলে তাকে প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরানো হবে। এটাই রীতি। রসিকতা সুরে ইন্দ্রাণীর বক্তব্য, ‘‘স্বস্তিকা তো এসভিএফের ঘরের মেয়ে! অনেক কাজ করেছেন। আগামী দিনেও অনেক কাজ করবেন। ওঁর কোনও অভিমান থাকলে প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে বুঝে নিন।” সব মিলিয়ে দর্শক কতটা ‘শ্রীমতি’ আর ‘কুলের আচার’-এ মোজলেন এখন সেটাই মাপকাঠি।

 

 

 

Previous articleCorona Update: টিকাকরনে নয়া রেকর্ড! চিন্তা বাড়াচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুহার
Next articleImtiyaz Ali: স্ত্রীর সঙ্গেই লিভ -ইন! পুরনো রসায়নকে তাজা করছেন ইমতিয়াজ আলি