মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাইরের কালীঘাটের বাসভবনের নিরাপত্তার বজ্র আটুনি ভেঙে ঢুকে পড়েছিল অভিযুক্ত হাফিজুল মোল্লা। সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আগেই এসেছে বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে। কালীঘাট কাণ্ডে ঘটনার আরও গভীরে পৌঁছতে এবার GAIT প্যাটার্ন প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছ SIT. হাফিজুল মোল্লা বলে যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে ব্যক্তি সত্যিই হাফিজুল কিনা তা খতিয়ে দেখতেই এই GAIT প্যাটার্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে কলকাতা পুলিশ। এই প্রথম কলকাতা পুলিশের তরফে এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

GAIT পদ্ধতিতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এবং সায়েন্টিফিক উইংয়ের বিশেষজ্ঞরা সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাওয়া সন্দেহজনক ব্যক্তির সঙ্গে হাফিজুলের হাঁটাচলার ধরন, প্রতিটি স্টেপ ফ্রেম বাই ফ্রেম মিলিয়ে দেখবেন।

এদিকে, তদন্তকারীরা হাফিজুলকে জেরা করে জানতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন চত্বরে ঢোকার আগে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ বার রেইকি করেছিল সে। তথ্য সংগ্রহ করেছিল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া থেকেও। এলাকার বাচ্চাদের চকোলেট খাইয়ে তথ্য সংগ্রহ করে হাফিজুল। যার প্রমাণ মিলেছে সিসিটিভি ফুটেজেও। ১১টি সিম কার্ড ছিল হাফিজুলের। সেই সিম কার্ডগুলি ব্যবহার করে বাংলাদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মুম্বই, গুজরাতে ফোন করত সে।
ফলে হাফিজুল যে একজন পাক্কা ক্রিমিনাল সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই তদন্তকারীদের। তার সঙ্গে রাজস্থান যোগও মিলেছে। রাজস্থান পুলিশও হাফিজুলকে খুঁজতে আসে কলকাতায়।
