আর্ট অফ লিভিং: সন্ন্যাসীর গান, গুরুজির জন্য “রাত কলি” গাইলেন শিষ্য

আর্ট অফ লিভিং গুরু রবিশঙ্কর। আর তাঁকে উদ্দেশ্য করেই হিন্দি ছবি ‘বুঢ্ঢা মিল গ্যয়া’-র কিশোর কুমারের গাওয়া ‘‘রাত কলি এক খোয়াব মে আয়ি‘‘ গানটি গেয়েছিলেন তাঁরই শিষ্য ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞা (Rishi Nityapragya)। তবে, বিষয় ভাবনার সঙ্গে অদ্ভূত ভাবে মিলে গিয়েছিল বলিউডের গানটি। এই বিষয় নিয়ে একটি ঘটনার কথা নিজের ভিডিও (Video) অ্যালবামে জানান ওই সন্ন্যাসী।

১৯৯৭-৯৮ সালে ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞা তখন শিক্ষক প্রশিক্ষণ দেন। থাকেন তাঁদের পুরনো আশ্রমে। ভোরে উঠে ধ্যান করার অভ্যাস তাঁর। ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞার কথায়, তিনি জানতেন না তাঁর গুরু রবিশঙ্কর (Ravi Shankar) তাঁর ঘরের দুটো ঘর পরেই এসে রয়েছেন। ভোর উঠে ধ্যানে বসেছেন শিষ্য। হঠাৎ তিনি তাঁর গুরুকে অনুভব করেন। সেই রকম অনুভূতি ধ্যানের মধ্যে তাঁর প্রায়ই হত বলে জানান সন্ন্যাসী। তিনি বলেন, সেদিনের অনুভূতি খুবই তীব্র ছিল। হঠাৎই চোখ খুলে ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞা দেখেন তাঁর ঘরের খাটের উপর বসে আছেন গুরু রবিশঙ্কর। শিষ্যকে দেখা দিয়ে হেসে চলে যান তিনি। সেই সময় তাঁর মনে হয়েছিল ‘‘রাত কলি এক খোয়াব মে আয়ি‘‘ গানটি। তরুণ ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞার মতে, সেই সময় তাঁর মনে হয়েছিল এই গানটি বোধহয় ওই মুহূর্তের কথা ভেবেই রচনা করা হয়েছিল। সেই রাতে সৎসঙ্গে সময় গানটি শোনান তিনি। শুনে তাঁর গুরু রবিশঙ্কর, হেসে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমি কী খুব কালো! সেই গান আবার গেয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞা। গুরুর প্রতি শ্রদ্ধায় গাওয়া এই গান এক অন্য মাত্রা পেয়েছে।

রবি ঠাকুরের অনেক প্রেম পর্যায়ের গান আধ্যাত্মিকতার বার্তা বহন করে। আবার অনেক পূজা পর্যায়ের গান প্রেমাস্পদের প্রতি সমর্পনের ইঙ্গিত দেয়। গানের কথা নয়, কোন সময়, কাকে উদ্দেশ্য করে সেই গান কীভাবে পরিবেশিত হচ্ছে- সেটাই অনেক ক্ষেত্র মুখ্য হয়ে ওঠে। ঋষি নিত্যপ্রজ্ঞার ‘‘রাত কলি এক খোয়াব মে আয়ি‘‘ গানটিও সেই ভাবেই সকলের মন ছুঁয়েছে।

আরও পড়ুন- শপথ নিলেন বাংলার নয়া রাজ্যপাল লা গণেশন

 

Previous articleবাংলাদেশে মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং, সপ্তাহে এক দিন বন্ধ পেট্রল পাম্প
Next articlePresident Election 2022: শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভোট পড়ল ৯৯ শতাংশের বেশি