সীমান্তের ১০০ কিমির মধ্যে হাইওয়ে সম্প্রসারণে পরিবেশগত ছাড়পত্রের প্রয়োজন নেই: কেন্দ্র

প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত কারণে সীমান্তবর্তী এলাকার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে রাস্তা সম্প্রসারণ, নির্মাণ, এবং খননকার্য চালানোর জন্য এখন থেকে আর কেন্দ্রের পরিবেশগত ছাড়পত্রের(Green Clearance) প্রয়োজনীয়তার প্রয়োজন নেই। এমনটাই জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র(Central)।

এতদিন পর্যন্ত লাইন অফ কন্ট্রোল, লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল এবং আন্তর্জাতীক সীমান্তে কোনও নির্মাণ, খনন বা সম্প্রসারণের কাজ করতে গেলে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের অনুমতি নিতে হত। কিন্তু এদিন কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, সীমান্তের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে এই ধরণের কাজ করতে গেলে আর কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের অনুমতি নিতে হবে না। সীমান্তবর্তী সমস্ত এলাকায় পরিবেশের প্রভাবের কথা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিং সম্প্রসারণকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে মূল এলাকা না বাড়িয়ে টার্মিনাল বিল্ডিংগুলি সম্প্রসারণ করতে পারবে।

সীমান্তে প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে প্রজেক্ট যেগুলি প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সেগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে। আরও জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় পরিবেশগত ছাড়পত্রের প্রয়োজনে জাতীয় প্রকল্পগুলিকে ছাড় দেওয়া প্রয়োজন। সমস্ত হাইওয়ে প্রকল্পগুলিক লাইন অফ কন্ট্রোল, লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে সীমান্তবর্তী প্রকল্পগুলিকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য বিরোধিতা করেছিলেন পরিবেশ প্রেমীরা। তাঁদের দাবি ছিল, এর ফলে পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে। যদিও পরিবেশপ্রেমীদের সেই দাবিকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে এবার সিমান্তবর্তী এলাকায় অবাধ খনন ও নির্মাণের পথ প্রশস্ত করা হল সরকারের তরফে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধিত এই নীতি কার্যকর হলে, উত্তরাখণ্ডের চারধাম প্রকল্পের কিছু অংশ, হিমালয় এবং উত্তর-পূর্বের আরও কয়েকটি প্রকল্প যদি সম্প্রসারণের প্রয়োজন হয় তাহলে কেন্দ্রের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। এছাড়াও কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রীর সংযোগের জন্য উত্তরাখণ্ডের ৮৯৯ কিলোমিটার রাস্তার সম্প্রসারণের কাজ এবার বিনা বাধায় এগোবে কেন্দ্র।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে চারধাম প্রকল্পে রাস্তাগুলি ১০ মিটার চওড়া করার দাবি জানিয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি ছিল যুদ্ধকালীন পরিস্থিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও লঞ্চারের মতো ভারী যন্ত্রপাতিগুলিকে সহজেই উত্তরাখণ্ডের ভারত-চিন সীমানায় নিয়ে যাওয়া যায় তার জন্য রাস্তা চওড়া জরুরি। যদিও শীর্ষ আদালত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নির্দেশ দেয় চারধাম প্রকল্পের জন্য রাস্তাগুলি ৫.৫ মিটারের বেশি চওড়া হওয়া উচিত নয়। এই পরিস্থিতির মাঝে এবার সামনে এল কেন্দ্রের নয়া বিজ্ঞপ্তি।


Previous articleগাড়ি চালাতে চালাতে ঘুম! রুখতে দুর্দান্ত উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের
Next articleএখনও টুইটে ধনকড়কে ট্যাগ! শুভেন্দুকে মোক্ষম খোঁচা দিলেন কুণাল