শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের গদিতে বসবেন কে?

চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের গদিতে বসবেন কে, বুধবার হতে চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে জরুরি অবস্থায় জারি করেছেন কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। একাধারে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী আবার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীও। কিন্তু বিক্রমসিঙ্ঘের প্রার্থীপদ নিয়ে অসন্তুষ্ট দেশের সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গোতাবায়ার মনোনীত বিক্রমসিঙ্ঘেকে কোনও মতেই দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁরা মেনে নেবেন না।

আরও পড়ুন:চতুর্থ দফার ভোটেও বাজিমাত, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আরও এক ধাপ এগোলেন ঋষি

প্রসঙ্গত, ৭৩ বছরের বিক্রমসিঙ্ঘেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে গোতাবায়ারই দল, এসএলপিপি। এর আগে বহু বার দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলেছেন বিক্রমসিঙ্ঘে। কিন্তু দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য লড়ে হেরে যান। দেশে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সব চেয়ে বেশি। তার পরেই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের অভিযোগ, সেই কারণে প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার জন্য আগে থেকেই মুখিয়ে ছিলেন বিক্রমসিঙ্ঘে।কিন্তু তাঁকে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের গদিতে বসাতে চান না।

পার্লামেন্টের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ডালাস আল্লাহপেরুমা এবং বামপন্থী নেতা অনুরা দিশানায়কের লড়াই হবে। উল্লেখ্য, এর মধ্যে ডালাসকে প্রধান বিরোধী দলনেতা সাজিথ সরাসরি সমর্থন ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্ট চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিজ নিজ দলগুলি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তাঁদের মনোনীত প্রার্থী ঠিক করেছেন। মাত্র ১০ মিনিটের সেই বৈঠকে শেষমেশ ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই এসে ঠেকেছে। তার ঠিক কয়েক মুহূর্ত আগেই সাজিথ প্রেমদাস টুইট করে জানিয়ে দেন, তিনি লড়াইয়ে থাকছেন না। বরং, গোতাবায়া রাজাপক্ষের দল এসএলপিপি’র বিক্ষুব্ধ নেতা ৬৩ বছরের ডালাস আল্লাহপেরুমার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করবেন।

নির্বাচনকে ঘিরে গোলমালের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই দেশের সব ক’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজধানী কলম্বোর পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আজ কথা বলেন পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে। শাসকদল এসএলপিপির কিছু নেতাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি যে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ক্ষোভ জানান স্পিকার। পুলিশের আধিকারিকেরা অবশ্য পার্লামেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে আজ স্পিকারকে আশ্বাস দিয়েছেন।




 

Previous articleBreakfast sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleউত্তর-দক্ষিণ নয় একটাই বঙ্গ, একুশে সমাবেশের আগে সেন্ট্রাল পার্ক যেন মিলন ক্ষেত্র