এখনও পর্যন্ত কী কী সম্পত্তির হদিশ মিলল পার্থ-অর্পিতার ?

অর্পিতার টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে এখনও পর্যন্ত ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

SSC দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির পাশাপাশি, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি।

এক নজরে দেখে নিন এখনও পর্যন্ত কী কী সম্পত্তির হদিশ মিলল-

অর্পিতার টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে এখনও পর্যন্ত ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৭৯ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না ও প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রা। কলকাতা-শহরতলিতে অর্পিতার ৮টি ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে । বেশ কিছু জমির দলিলও উদ্ধার হয়েছে।তাঁর বাড়ি থেকে উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রতীকী লাগানো খামও মিলেছে ।
বারুইপুরের বেগমপুরের পুড়ি এলাকার একটি বাগানবাড়ির হদিশ পাওয়া গিয়েছে।একাধিক বিলাস বহুল ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে লক্ষ টাকা দামি গ্যাজেট পাওয়া গিয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরে পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে অর্পিতার সম্পত্তি।
বেলঘরিয়াতে ফ্ল্যাট রয়েছে অর্পিতার। এছাড়াও বরানগরের টবিনরোডেও অর্পিতার ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে। বরানগরে দুটি নেল পার্লারও রয়েছে অর্পিতার।
দেড় লক্ষ টাকা দামের ফোন, অ্যাপেলের ল্যাপটম থেকে শুরু করে দামি আইপড ব্যবহার করতেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই মডেল।উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মূদ্রাও।উদ্ধার হয়েছে বিদেশী মূদ্রাও।

নোটবন্দির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের টাকাতে কেনা ১০০টি ডাম্পারের হদিশ পেয়েছে ইডি।এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ একটি যৌথ সম্পত্তির নথিপত্র উদ্ধার করেছে। সেটি একটি বাড়ি। যা কেনা হয়েছিল ২০১২ সালে।

সেই সব নথি সূত্রে ইডি মাদুরদহে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে অবস্থিত একটি বাড়ির সন্ধান পেয়েছে, যেটি বেসরকারি সংস্থাকে ভাড়া দেওয়া আছে। যেটির এখনকার বাজারমূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
অর্পিতার বাড়ি থেকে তারা ৪৭টি ফাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
তল্লাশিতে উচ্চশিক্ষা দফতর লেখা একটি এনভেলাপে নগদ পাঁচ লাখ টাকা পাওয়া যায়।সাতটি ডিজিটাল ডিভাইস মিলেছে।তিনটি নতুন মোবাইল সেট পাওয়া যায় যেগুলির ব্যবহার করা হয়নি।

খোঁজ মিলেছে একটি কালো ফরচুনার। মাঝেমধ্যেই সেই বিলাসবহুল গাড়ি রাত বাড়লে এসে দাঁড়াতো ডায়মন্ড হারবার রোডের ওপর। কখনও বিলাসবহুল সাদা ইনোভায় আসতেন তিনি। হ্যাঁ, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।গাড়ি থেকে নামতেও দেখা যেত না তাকে।

কিন্তু বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলে ম্যাডামকে খুশি করতে রেস্তোরাঁ থেকে আসত দামি দামি খাবার। কয়েকদিন আগেও ডায়মন্ড হারবার রোডের ওপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিসের বাইরে এই ছবি দেখা যেত।

রাত বাড়লেই শহর ঘুরতে বেরিয়ে পড়তেন যুগলে। কখনও গাড়ি ছুটত কোলাঘাটের দিকে।কোনওদিন আবার হাইওয়ে ধরে সোজা ডায়মন্ডে। কোলাঘাটের নামী হোটেলের সামনে দাঁড়াতো গাড়ি। না নেমে গাড়ির ভেতরেই এলাহি খাবার দিয়ে নৈশভোজ সারতেন দুজনে। তারপর রাতের বুক চিরে বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত তিনটে।
এছাড়া মিলেছে ২৮টির মতো আনইউজড ডিভাইস। এছাড়া দুটি ডায়েরি মিলেছে। তার একটি উচ্চ শিক্ষা দফতরের। পাওয়া গিয়েছে ৪৬টি ক্যাশ মেমো। আরও সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

 

 

 

 

Previous articleCAB: বাংলা সিনিয়র দলের কোচ হলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা
Next articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ