বারুইপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে সোহিনী নামাঙ্কিত “বিশ্রাম” বাগানবাড়ির হদিশ আগেই পেয়েছে ইডি। যেখানে পার্থবাবুর জামাইকে মূলত বেশি দেখা যেত। কখনও কখনও এখানে কিছু লোকজন নিয়ে পিকনিকও করতে আসতেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সেই বিশ্রাম বাগানবাড়িতেই “চুরি”র ঘটনা! যার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
আরও পড়ুন: পার্থকে সরকার এবং দলীয় পদ থেকে এখনই সরানো উচিত: বিস্ফোরক ট্যুইট কুণালের

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বারুইপুর থানার অন্তর্গত বেগমপুরের পুঁড়ি গ্রামের এই বাগানবাড়িতে রাত ১টা নাগাদ তালা ভাঙার আওয়াজ পেয়ে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। কিছুলোক পাঁচিল টপকে বাগানবাড়ির মধ্যে ঢুকছিলেন। এরপর তাঁরা বাইরের দরজার তালা ভাঙেন। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয় ৪ দুষ্কৃতী। আসে বলে সূত্রের খবর। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই দুষ্কৃতীরা একটি চার চাকা গাড়ি নিয়ে এসেছিল। বেশ কিছু জিনিসপত্র গাড়িতে করে নিয়ে যায় তারা, জানান স্থানীয়রা।

যখন পার্থ বান্ধবী অর্পিতার বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ, সোনা, গয়না, নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করছে ইডি, ঠিক তখনই বারুইপুরের বাগানবাড়িতে চুরির ঘটনা। প্রশ্ন উঠছে, এই চোরের দল কি সাধারণ? পেটের দায়ে কি চুরি করতে এসেছিল তারা? ঠিক এমন সময়, যখন ইডি পার্থ ও তার বান্ধবীর একের পর এক আবাসনে তল্লাশি অভিযান করছে, ঠিক তখনই এমন ঘটনা অনেক প্রশ্ন উঠিয়ে দিচ্ছে।

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে, তবে কি নথি পত্রের তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য এই চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্তে ইডি। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।

উল্লেখ্য, বারুইপুরের বেগমপুর অঞ্চলের পুঁড়ি গ্রামে কয়েক বিঘা জমির উপর আগেই একটি সাজানো বাগান বাড়ির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। বাড়ির নাম “বিশ্রাম”। এলাকাবাসীদের দাবি, এই বাড়িটি পার্থ চট্টোপাধ্যায় অথবা তাঁর মেয়ে সোহিনীর নামে। বাড়ির নেমপ্লেটে লেখা সোহিনী, যা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের নাম। যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই বেশ কয়েকবার এসেছেন। কখনও কখনও পার্থবাবু ও তাঁর বিশেষ বান্ধবী অর্পিতাকেও দেখেছেন তাঁরা।
